রাজধানীর উত্তরা পূর্ব এলাকায় মোটরসাইকেলে অজ্ঞাত ট্রাকের ধাক্কায় আব্দুর রহমান রাব্বি (২২) ও কালিমা আকরাম মীম (২০) নামে এক দম্পতি নিহত হয়েছে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত দেড়টার দিকে মোটরসাইকেলে অজ্ঞাত ট্রাক ধাক্কা দিলে এ দম্পতি দুর্ঘটনায় পতিত হন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় বন্ধুবান্ধব ও পথচারীরা উদ্ধার করে তাদের ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। রাত পৌনে ৩ টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাব্বিকে মৃত ঘোষণা করেন। আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৭ টার দিকে তার স্ত্রী মিমও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

নিহতদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা বন্ধু মানিক হোসেন বলেন, “রাতে এই দম্পতি মোটরসাইকেলে টঙ্গী থেকে উত্তরা যাওয়ার পথে উত্তরাপূর্ব  বিএনএস সেন্টারের সামনে একটি অজ্ঞাত ট্রাক পিছন থেকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে তারা আইল্যান্ডে আঘাত লেগে গুরুতর আহত হয়। আমরা খবর পেয়ে দম্পতিকে রাতে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে আসলে চিকিৎসক রাব্বিকে মৃত বলে জানান ও মিম সকালের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।”

তিনি জানান, মৃত রাব্বি টঙ্গীর পশ্চিম রসুলবাগ আউচপাড়ার মোক্তার হোসেনের বাড়ির আব্দুর রবের ছেলে। রাব্বির স্ত্রী মিম গাজীপুরের গোপালপুর ছোট মসজিদ টিএন্ডটি টঙ্গী পূর্ব এলাকার আব্দুল করিমের মেয়ে।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক বলেন, “উত্তরা থেকে সড়ক দুর্ঘটনায় এক দম্পতিকে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে।”

ঢাকা/বুলবুল/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ