জাতীয় সঙ্গীতকে ব্যাঙ্গ করায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
Published: 18th, February 2025 GMT
জাতীয় সংগীতকে ব্যাঙ্গ করে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে কটূক্তি মূলক ভিডিও টিকটকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা থেকে যুবলীগের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুযারি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানায় কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম মো.
আরো পড়ুন:
রাজশাহী জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে আ.লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১৯ জন গ্রেপ্তার
পুলিশ জানায়, ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য মো. আলম মিয়া ৩-৪ দিন আগে তার টিকটক আইডিতে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ভিডিওটিতে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতকে ব্যাঙ্গ করে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উস্কানি দেওয়া হয়। নাগেশ্বরী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে নিজ বাড়ি আলম মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
জেলা পুলিশের মিডিয়া অফিসার ও ডিআইও মো, আলমগীর হোসেন বলেন, “দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সম্পর্কে কটূক্তি ও উস্কানিমূলক ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছিলেন আলম মিয়া। তাকে মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/বাদশাহ/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য বল গ য বল গ র আলম ম য়
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের
গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিও জানায়।
মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা, নির্বাহী সদস্য আফজাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও বোম্বে সুইটস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া প্রমুখ।
সমাবেশে নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে গার্মেন্টস উইংয়ের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এবং রিকশা শ্রমিকদের রুটি–রুজির আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে চট্টগ্রামে রিকশা সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আল কাদেরি জয়, মিরাজ উদ্দিন ও রোকন উদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা শ্রমক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করবে।
এ সময় নেতারা শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চান। তাঁরা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া বন্ধ না হলে, শ্রমিকের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র পরিচালনা বা বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি শ্রমজীবী মানুষের কাছে প্রতারণা হিসেবে পরিগণিত হবে।
মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রম খাতের দুর্দশার যে ভয়ানক চিত্র ফুটে উঠেছে, তা প্রমাণ করে স্বাধীনতা–পরবতী প্রতিটি সরকার শ্রম শোষণকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
এ সময় গ্রেপ্তার সব শ্রমিকের মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং মে দিবসের প্রকৃত চেতনায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা।