নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম অংশে তথা নিতাইগঞ্জ, শীতলক্ষ্যা, পাইকপাড়া, ভূঁইয়াপাড়া, ফরাজীকান্দা, জল্লারপাড়, নয়াপাড়া, বাবুরাইল, দেওভোগ, বেপারীপাড়া, নন্দীপাড়া, ভূঁইয়ারবাগ, গলাচিপা, কলেজ রোড, চাষাড়া, মাসদাইর, জামতলা সহ বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে ডিপিডিসি কর্তৃক পোষ্ট পেইড মিটারের পরিবর্তে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের পায়তারা করছে, এই প্রি-পেইড মিটার স্থাপন বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন করেছে আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী।  

সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নূরউদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে যুগ্ম সম্পাদক-১ মাহমুদ হোসেন এর সঞ্চালনায় কিল্লারপুর বিদ্যুৎ অফিসের সম্মুখে মঙ্গলবার সকাল ১১টায়   মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। মানববন্ধন শেষে নেতৃবৃন্দ প্রধান প্রকৌশলীর নিকট প্রি-পেইড মিটার বন্ধে দাবী সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় আটজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর নেতৃবৃন্দের সহিত প্রধান প্রকৌশলী অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এতে কিছুটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যার ফলে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাগণ ও নেতৃবৃন্দ তার আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ করলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

মানববন্ধন অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নূর উদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে বিভিন্ন এলাকায় এই প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কারণে গ্রাহকদের নানা রকম জটিলতা ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টির কথা তুলে ধরে এই কার্যক্রম বন্ধের জোর দাবী জানান।

প্রধান বক্তা নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এড.

এ বি সিদ্দিক বলেন, এ ধরনের একটি গণবিরোধী কার্যক্রম ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষ কিভাবে পরিচালনা করছেন জনগণের কাছে তার জবাবদিহি করতে হবে। অবিলম্বে এই প্রি- পেইড মিটার স্থাপনের কার্যক্রম বন্ধ করা না হলে ভুক্তভোগী নারায়ণগঞ্জের মানুষকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারসহ ৫ দফা দাবি

বাংলা চলচ্চিত্রের অমর নায়ক সালমান শাহ। তার মৃত্যু আজও রহস্যে মোড়া, বেদনায় ভারী এক অধ্যায়। সেই রহস্যের জট খুলে ন্যায়বিচারের দাবিতে আবারো পথে নেমেছেন সালমান প্রেমীরা।

রাজধানী ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন। তাদের হাতে ছিল পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড। এ সময় ভক্ত-অনুরাগীরা খুনিরা জেলে যাক, ছেলে হারা মায়ের ডাক’, ‘বিচার চাই, বিচার চাই, সালমান হত্যার বিচার চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

জামান নামের এক ভক্ত বলেন, “সালমান হত্যার মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আমরা এখানে উপস্থিত। মামলা দায়েরের ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কোনো অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। দেশে যারা আছেন, বিশেষ করে খলনায়ক ডন এবং সামিরা হককে আমরা প্রকাশ্যে দেখেছি। ডন কিছুদিন আগে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন, তিনি আমাদের সঙ্গে এবং তার পরিবারের সঙ্গে প্রেস ক্লাবে বসবেন। তাহলে কি প্রমাণ করতে চেয়েছেন, যে সালমানকে হত্যা করা হয়নি? আজ ডন কোথায়?”

তিনি যোগ করেন, “মামলার দুইদিন পর ডন ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘আমি দুই-তিনদিন পর আত্মসমর্পণ করব।’ তিনি বলেছিলেন, বাসাতেই আছেন। তাহলে কেন এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি?”

মানববন্ধনে ভক্তরা সামিরা হকের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এক ভক্ত বলেন, “সামিরা বারবার চ্যালেঞ্জ করছেন যে সালমান আত্মহত্যা করেছেন। ২৯ বছর পর যখন অপমৃত্যু মামলা হত্যা মামলায় রূপ নিয়েছে এখন তিনি পালাচ্ছেন কেন? তিনি কেন ভয় পাচ্ছেন?”

ভক্তদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—পিবিআই প্রতিবেদনে যে পাঁচটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছিল তা পুনরায় খতিয়ে দেখতে হবে। র‍্যাবের তদন্ত স্থগিত করে কেন পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল? পিবিআইয়ের পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদনে যেই অসঙ্গতিগুলো ছিল তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসন্ধান করতে হবে।

মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। আসামিদের আত্মগোপন বা পলায়ন প্রমাণ করে তারা অপরাধী। নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি পালিয়ে থাকে না। আদালতের নিকট ভক্তরা আবেদন করেন—পালিয়ে থাকা আসামিরা যেন আগাম জামিন না পায়। তাহলে আইন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। ন্যায়বিচারের স্বার্থে আসামিদের আগাম জামিন দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

আসামিদের অদৃশ্য পেশী শক্তির প্রভাবে ২৯টি বছর ধরে মামলাটি মিথ্যার মোড়কে আটকে ছিল। যা একটি দীর্ঘ সময়। তাই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আর যেন বিলম্ব না হয় এজন্যে দেশের চলমান আইনের নিয়মানুসারে হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সরকারের কাছে সালমান শাহ ভক্তদের আবেদন, বিদেশে পালিয়ে থাকা আসামিদের ইন্টারপোলের সহায়তায় খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার করে দেশে এনে হত্যা মামলাটির বিচারকার্য অতি দ্রুত সম্পন্ন করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রাণের দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

সর্বশেষ দাবি হলো, ডিবি ও সিআইডি থেকে আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করে কেন ভুল রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল, সেটারও সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে বিচার করতে হবে।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর থানা-পুলিশ, সিআইডি, র‍্যাব ও পিবিআইসহ একাধিক সংস্থা তদন্ত চালায়। সব প্রতিবেদনেই ঘটনাটিকে আত্মহত্যা হিসেবে উল্লেখ করা হলেও সালমান শাহর পরিবারের আপত্তিতে প্রতিবারই তদন্ত সংস্থা পরিবর্তন করা হয়। মানবন্ধনে উপস্থিত ভক্তরা দ্রুত বিচার ও আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।

ঢাকা/রাহাত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিফাক শব্দের অর্থ কী এবং মুনাফিকের লক্ষণগুলো কী
  • বৈষম্যের খাঁচা আদৌ কি আমরা ভাঙতে চাই
  • মাদ্রাসা সভাপতির বিরুদ্ধে চোরাচালান মামলা, প্রত্যাহারের দাবিতে শিশুশিক্ষার্থীদের দিয়ে মানববন্ধন
  • হবিগঞ্জে কনসার্টে বিশৃঙ্খলার পর নারীদের হেনস্তা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ
  • ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বামরাইল সেতু সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন
  • পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ভিনগ্রহের বস্তু নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ইলন মাস্ক
  • অতিরিক্ত মোটা হওয়ায় যাত্রীকে তুলতে অস্বীকৃতি উবার চালকের
  • ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ জন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও ৩৩ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত
  • সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারসহ ৫ দফা দাবি
  • সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার ও ২১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ