পঞ্চগড়ে শিবিরের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের মিছিল
Published: 19th, February 2025 GMT
খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদল নেতাকর্মীরা হামলার শিকার হয়েছেন দাবি করে পঞ্চগড়ে ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল করেছে ছাত্রদল। বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি তারিকুজ্জামান তারেকের নেতৃত্বে মিছিলটি বের হয়।
মিছিলে ‘একটা একটা শিবির ধর, ধরে ধরে জবাই কর’, ‘শিবিরের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘হই হই রই রই, জামাত-শিবির গেলো কই’- শ্লোগান দেওয়া হয়।
মিছিলটি জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে শেষ হয়। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি আবু সাঈদ, পঞ্চগড় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি তারেকুজ্জামান তারেক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কুয়েটে ছাত্রদলের সাংগঠনিক কাজে বাধা প্রদান এবং সহযোদ্ধাদের যেভাবে রক্তাক্ত করা হয়েছে তা দুঃখজনক। এ ঘটনায় সারাদেশে ছাত্রদল আবার জেগে উঠেছে। বিগত দিনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন তরান্বিত করতে সারাদেশে ছাত্রদল দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলে। ছাত্রদল বুক চেতিয়ে রাজপথে না আসলে হয়তো স্বৈরাচারের পতন কখনোই হতো না। স্বৈরাচার পালিয়ে যাবার সুবাদে নিষিদ্ধ সংগঠন, যারা গর্তে অবস্থান করত; তারা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে একটি মাত্র সংগঠন ছিল, সেটা ছাত্রদল। ছাত্রশিবির যদি ছাত্রদলের অস্তিত্বে আঘাত হানতে চায়, তাহলে ছাত্রলীগকে যেভাবে বিতাড়িত করেছি; তেমনি শিবিরকেও পঞ্চগড় থেকে বিতাড়িত করব।
এর আগে, একই ঘটনায় রাত ৯টায় মশাল মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পঞ্চগড় জেলা।
পঞ্চগড় গার্লস স্কুলের সামনে থেকে মশাল মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলে ‘লীগ গেছে যেই পথে, দল যাবে সেই পথে’, ‘ছাত্রদলের আস্তানা, ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও’- স্লোগান দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শুরু হয়ে সংঘর্ষ দফায় দফায় চলে বিকেল বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। এতে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
ঢাকা/নাঈম/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’