নরসিংদীর শিবপুরে কবির হোসেন (৩৫) নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে শিবপুর-জাল্লারা সড়কের ধনাইয়া নতুন ব্রিজের নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

কবির হোসেন উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ধনাইয়া গ্রামের মৃত আলিমুদ্দিনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শিবপুর জনতা ব্যাংক মার্কেটে কাপড়ের ব্যবসা করে আসছিলেন। 

শিবপুর মডেল থানার (ওসি) আফজাল হোসাইন বলেন, ‘‘কবির হোসেন ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছিলেন ধারণা করছি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ব্যবসায়ীক কাজ শেষে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন কবির হোসেন। পথে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন তিনি। সে সময় ফোনে কথা বলছিলেন কবির। ফোনের অন্য প্রান্তে থাকা ব্যক্তি বিষয়টি বুঝতে পেরে তার স্বজনদের জানান। তারা সারারাত খোঁজাখুঁজি করেও কবিরের সন্ধান পাননি। সকালে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ব্রিজের নিচে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।

ঢাকা/হৃদয়/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে, বাবা থানায় আটকা ২৬ ঘণ্টা 

ছেলে বিরুদ্ধে হুন্ডির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভ্যানচালক বাবাকে প্রায় ২৬ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে। রোববার সন্ধ্যায় ভ্যানচালক ফজলু প্রামাণিককে আটক করে থানায় আনে পুলিশ। আজ সোমবার রাত ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানার গারোদখানায় রয়েছেন তিনি।

ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ার খোকসা থানায়। ফজলু উপজেলার শোমসপুর ইউনিয়নের ধুসুন্ড গ্রামের বাসিন্দা। তাকে আটক করে থানায় আনেন এসআই তুষার। 

ভ্যানচালক ফজুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার কথা স্বীকার করেছেন এসআই তুষার। তিনি বলেন, ‘বৃদ্ধের বিরুদ্ধে গোপন অভিযোগ আছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আটকে রাখা হয়েছে।’ তবে কী অভিযোগে আছে সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আপনি ফাউ কথা না বলে, জায়গায় কথা বলতে বলেন।’ 

ভ্যানচালকের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন বলেন, ‘মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুল গাফ্ফার টোকন নামে এক ব্যক্তি হুন্ডির ব্যবসা করেন। নূর এন্টার প্রাইজ নামে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি হুন্ডির ব্যবসা করেন। আমার ছেলে সজল ওই প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করত। সম্প্রতি গাফ্ফারের কাছে বকেয়া বেতন দাবি করায় ছেলের সর্বনাশ হয়েছে। প্রথমে সজলের বিরুদ্ধে কয়েক লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলেন গাফ্ফার। এ টাকা জন্য জমি লিখে দেওয়ার চাপ দেন তিনি। এক পর্যায়ে দুই মাস আগে তার ছেলের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন গাফ্ফার। অভিযোগ মিটিয়ে ফেলার জন্য থানা-পুলিশ সজলের ওপর চাপ দিতে থাকে। এক পর্যায়ে ছেলে আত্মগোপন করায় রোববার সন্ধ্যায় এসআই তুষার আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নেন। এর পর থেকে তিনি থানার গারদে রয়েছেন।’ 

খোকসা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মইনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সারাদিন জেলা সদরে ব্যস্ত ছিলাম। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে পরে জানাব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ