‘চাচা, হেনা কোথায়?’ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত সংলাপ। এ নিয়ে অনেক হাস্যরসও হয়েছে। অবশেষ হেনাকে খুঁজে পেলেন বাপ্পারাজ। দুজনের দেখা হলো টাঙ্গাইলে।
আজ অভিনেতা নাঈম তাঁর নিজ বাড়ি টাঙ্গাইলের সাহেব বাড়িতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। সোখানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন বাপ্পারাজসহ অনেকেই। এসময় নাঈমের সঙ্গে থাকা শাবনাজকে দেখে আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন বাপ্পারাজ।
দুজনে কুশল বিনিময় করেন। তাদের চোখের কোনে ঝড়ে আনন্দ অশ্রু। এরপর চলে নানা রসিকতা। এক পর্যায়ে নাঈমকে বাপ্পারাজ জিজ্ঞেস করেন ‘নাঈম ভাই হেনা কোথায়? নাঈমের উত্তর, ‘বাপ্পা তুই অনেক দেরী করে ফেলেসিস। হেনার তো আমার সঙ্গে অনেক আগে বিয়ে হয়ে গেছে’। বাপ্পারাজ চিৎকার করে বলে না আমি বিশ্বাস করি না.
১৯৯৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমায় সংলাপটি ছিল। পর্দায় ছিলেন আনোয়ার হোসেন ও বাপ্পারাজ। আর ছবিতে হেনা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শাবনাজ। এই ছবির আরেকজন নায়ক ছিলেন অমিত হাসান। সিনেমাটির নির্মাতা ইফতেখার জাহান। আর ছবির কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্য করেছেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু।
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ‘প্রেমের সমাধি’ ছবির সেই ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, ‘সিনেমার এক পর্যায়ে নায়ক বকুল (বাপ্পারাজ) দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরে তাঁর প্রেমিকা হেনার (শাবনাজ) বাড়ি সাজানো দেখতে পান।
তিনি হেনার বাবাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘চাচা, বাড়িঘর এত সাজানো কেন? আর হেনা কোথায়? চাচা, কথা বলছেন না যে। চুপ করে আছেন কেন?’ জবাবে চাচা বলেন, ‘হেনাকে তুমি ভুলে যাও, হেনার বিয়ে হয়ে গেছে।’ বকুল তখন আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘না না, হেনার বিয়ে হতে পারে না। আমি বিশ্বাস করি না, আমি বিশ্বাস করি না।’
দীর্ঘদিন পর এ সংলাপটি সামাজিক মাধ্যমে পুনরায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অনেকেই এই দৃশ্যের ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করছেন এবং নিজেদের মতামত ও অনুভূতি প্রকাশ করছেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
টানা বর্ষণে বেহাল বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক, খানাখন্দে ভোগান্তি
টানা বর্ষণে পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের প্রায় ৭১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এতে ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের। মহাসড়কটির একাধিক বাঁকে খানাখন্দের কারণে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে।
মহাসড়কটিতে চলাচলকারী বাস মালিক সমিতি ও সওজের সূত্র জানা যায়, এই মহাসড়কে প্রতিদিন অন্তত দুই হাজার যানবাহন চলাচল করে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু চালুর পর পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে কুয়াকাটাগামী যানবাহনের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে। তবে বর্তমানে সড়কটির বেহাল দশার কারণে প্রতিদিনই ভোগান্তি বাড়ছে।
সংশ্লিষ্ট রুটের একাধিক চালক ও যাত্রী বলেন, ভারী বর্ষণে সড়কের পিচ নরম হয়ে গাড়ির চাপে উঠে যাচ্ছে। ফলে নতুন নতুন গর্ত তৈরি হচ্ছে। পটুয়াখালীর কয়েকটি এলাকাসহ কুয়াকাটাগামী মানুষের যাতায়াতের প্রধান সড়কটির এমন বেহাল দশায় অতিষ্ঠ তাঁরা।
শ্যামলী এনআর পরিবহনের চালক কেরামত আলী বলেন, সড়কটিতে এত গর্ত যে স্টিয়ারিং নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যা হচ্ছে। যাত্রীদেরও দুর্ঘটনার আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। তুহিন পরিবহন নামে আরেকটি বাসের চালক কাওসার হাওলাদার বলেন, দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ না নিলে সড়কটি আরও বেহাল হয়ে পড়বে।
সম্প্রতি মহাসড়কটি ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতি ৫০ গজ পরপরই খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে আমতলী চৌরাস্তা, মানিকঝুড়ি, শাখারিয়া, সাহেববাড়ি, আমড়াগাছিয়া, পাটুখালী, বান্দ্রা ও পখিয়া এলাকায় এসব গর্তের পরিমাণ বেশি।
বরিশাল থেকে পটুয়াখালী পর্যন্ত ভালোয় ভালোয় এসেছেন জানিয়ে কুয়াকাটাগামী যাত্রী আল আমিন, পটুয়াখালীর পর আর যেন বাস চলছে না। কিছুক্ষণ পর পর ব্রেক কষতে হচ্ছে। সড়কের অবস্থা বেহাল হওয়ায় একদিকে ঝাঁকুনি, অন্যদিকে সময়ও লাগছে বেশি। আর ঝুঁকিও অনেক বেশি।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ সালে নির্মিত এই সড়কে পদ্মা সেতু চালুর পর যানবাহনের সংখ্যা বাড়ানো হলেও অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। মহাসড়কের এই অংশ দেখভাল করে বরগুনা ও পটুয়াখালী দুই জেলার সওজ।
এ ব্যাপারে বরগুনা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী কমারেশ বিশ্বাস বলেন, এবার দক্ষিণাঞ্চলে বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে সড়কের পিচ আলগা হয়ে যায় এবং যানবাহনের চাকায় তা সরে গিয়ে দ্রুত খানাখন্দ তৈরি হয়। প্রাথমিকভাবে ভ্রাম্যমাণ দল দিয়ে জরুরি সংস্কারের কাজ চলছে। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ পেলে পূর্ণাঙ্গ সংস্কার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
সওজের পটুয়াখালী অঞ্চলে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাসুদ করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি।’