স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, “আমরা যে পেশাতেই যাই না কেন, সবার আগে আমাদের নিজেকে ভালো মানুষ হতে হবে। ডাক্তার, শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ার যেকোনো পেশাতেই ভালো মানুষ হওয়াটা পূর্বশর্ত।”

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে বাংলাদেশ মেডিকেল এডুকেশন অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের উদ্যোগে আয়োজিত “বাংলাদেশে স্বীকৃতির জন্য BMEAC মানদণ্ড, নীতি ও পদ্ধতি, সাইট পরিদর্শন নির্দেশিকা এবং স্ব-মূল্যায়ন প্রতিবেদন (SAR) সম্পর্কে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষদের ওরিয়েন্টেশন সভায় তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্য খাতে মানসম্মত শিক্ষার বিকল্প নেই জানিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, “আমাদের শিক্ষাটা মানসম্মত হতে হবে। আমাদের চারপাশটা অন্যরকম হয়ে গেছে। আমাদের দক্ষ ভালো, মানবিক পেশাজীবি গড়ে তুলতে হবে। তাহলে এই অবস্থা থেকে আমরা দাঁড়িয়ে উঠতে পারব।”

সভায় উপস্থিত দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষদের উদ্দেশ্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, “আপনারা মানুষ তৈরি করার কারিগর। যথার্থ মানুষ তৈরি করতে পারলে এই দেশটার এমনিতেই পরিবর্তন ঘটবে। আমরা আমাদের মেডিকেল কলেজগুলোর শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করে যথার্থ ভালো ডাক্তার তৈরি করতে পারলে স্বাস্থ্য খাতের মানোন্নয়ন সম্ভব।”

ঢাকা/এএএম/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ য উপদ ষ ট ম ড ক ল কল জ আম দ র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মুশফিকের প্রেমকাহিনির মঞ্চে ম্যাথুসের বিদায়ী সুর

* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের একটাই জয়। সেটি আবার শ্রীলঙ্কাতে। সেই জয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বলে আপনার তা খুব ভালোমতোই মনে থাকার কথা।

* টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৬০০ ছাড়ানো একমাত্র স্কোরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিও শ্রীলঙ্কাতে।

* টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হ্যাঁ, হ্যাঁ, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই।

শেষ দুটি আবার একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি একই টেস্টে। ২০১৩ সালে যে টেস্টে বাংলাদেশের ৬৩৮, সেটিতেই মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। টানা ১২ টেস্টে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ড্র-ও।

এই পুরোনো প্যাচাল খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক লাগবে না, যখন জানবেন ওই টেস্টটা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। পশ্চাৎপটে অতিকায় গল ফোর্টের পাথুরে কাঠামো আর দুই পাশে সাগর মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের একটি। ২০০৪ সালে সুনামিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর পুনর্জন্ম নেওয়া গলের সেই মাঠেই আজ শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। শুরু আসলে তিন ধরনের ক্রিকেটেই একে অন্যের নাড়ি-নক্ষত্র বুঝে নেওয়ার লড়াই। যাতে টেস্ট আছে, ওয়ানডে আছে, আছে টি-টোয়েন্টিও। দুই টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজে তিনটি করে ম্যাচ।

আরও পড়ুনআমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিনতে হলে এই লেখাটা পড়তে হবে০২ জুন ২০২৫

দুই দল পরস্পরের খুব চেনা। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২৬টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘন ঘন দেখা হলে হৃদ্যতা যেমন হয়, তেমনি রেষারেষিও। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই দুই দল মুখোমুখি হলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে উত্তেজনার ফুলকি ছুটেছে। ‘টাইমড আউট’ হয়তো সেটির এক নম্বরে, এর বাইরেও নানা কিছু মিলে লঙ্কা-বাংলা এখন গনগনে এক দ্বৈরথের নাম।

গত চার বছর দুই দলের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ। দুই দলের জন্যই রণকৌশল ঠিক করা তাই খুব সহজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ দলের জন্য হয়তো তা থাকছে না শ্রীলঙ্কা দলে নতুনের সমারোহে। ১৮ জনের দলের এক–তৃতীয়াংশই এখনো টেস্ট খেলার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ দলেও কিছু পরিবর্তন আছে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে নয়।

টেস্টের প্রস্তুতিতে গলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল

সম্পর্কিত নিবন্ধ