Samakal:
2025-11-03@05:41:55 GMT

শিশুর মাথাব্যথা হলে করণীয়

Published: 19th, February 2025 GMT

শিশুর মাথাব্যথা হলে করণীয়

বড়দের মতো শিশুরও মাথাব্যথা হতে পারে। এটি একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। তবে শিশু ও বয়স্কদের মাথাব্যথায় কিছুটা পার্থক্য আছে। শিশুর মাথাব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। কোনো কোনো সময় এক-আধঘণ্টার মধ্যেই সেরে যায়। শিশুর মাথাব্যথার সঙ্গে বমি ও বমি ভাব বয়স্কদের তুলনায় বেশি পরিলক্ষিত হয়।

সাধারণত গরমে, বদহজমজনিত কারণ বা অস্বস্তি, ঘুম কম হলে, সারাক্ষণ ডিভাইসের দিকে তাকিয়ে থাকলে এবং এমনকি স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তা থেকেও শিশু মাথাব্যথার শিকার হয়ে থাকে। অনেকে আবার স্কুল ফাঁকি দেওয়ার ফন্দি হিসেবে মাথাব্যথার আশ্রয় নিয়ে থাকে। অল্প কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর অসুখের কারণে শিশুর মাথাব্যথা হয়ে থাকে। অনেক সময় শিশুর চোখের সমস্যাজনিত কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। মাথাব্যথার সঙ্গে যদি চোখে কোনো উপসর্গ দেখা দেয়, পড়ার সময় যদি চোখ দিয়ে পানি বের হয়, শিশু যদি বই চোখের কাছে টেনে নেয়, তাহলে এর সহজ সমাধান হচ্ছে চোখের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।

বেশির ভাগ শিশু রোদ সহ্য করতে পারে না। কখনও কখনও এমনও হয়, স্কুলে পিটি করার সময় বা অ্যাসেমব্লির সময় হঠাৎ করে শিশুর মাথাব্যথা শুরু হয়ে যায়। এসব ক্ষেত্রে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে শিশুকে ছাতা, ক্যাপ ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে অভিভাবকদের স্কুলে গিয়ে শ্রেণি শিক্ষক বা পিটি শিক্ষকের সঙ্গে শিশুর রোদজনিত সমস্যা নিয়ে মতবিনিময় করতে হবে।

শিশুর যদি মাইগ্রেন হয় এবং মাথাব্যথার কারণ যদি বংশগত হয়, তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অনেক সময় শিশুর সাইনোসাইটিস, ব্রেইন টিউমারের কারণেও মাথাব্যথা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ব্যথা তীব্রতর নাও হতে পারে। অনেক সময় মাথাব্যথা বমির পর হালকা হয়ে যায়। শিশুর মৃগী রোগ বা এপিলেপ্সি রোগ হলেও মাথাব্যথা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে খিঁচুনির সমস্যা নাও থাকতে পারে।

মাথাব্যথা হলে প্যারাসিটামল সেবনের জন্য কেউ আর আজকাল ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করেন না। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া প্যারাসিটামল বা ব্যথার ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। শিশুর মাথাব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হলে বা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে শিশুর রোগের কারণ অনুযায়ী চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ, নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞ বা নিউরোলজিস্টের শরণাপন্ন হোন।

লেখক : অধ্যাপক, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

প্রস্থেটিক মেকআপ আর্টে সোনালী মিতুয়ার বাজিমাত

বাংলাদেশের মেকআপ আর্ট জগতে নীরবে নতুনত্ব যোগ করে যাচ্ছেন সোনালী মিতুয়া। তার শৈল্পিক ইলিউশন এবং বডি পেইন্টিংগুলো আন্তর্জাতিক মানের, যা দেখে চোখ ফেরানো দায়। বর্তমানে ফিনল্যান্ডে মেকআপের ওপর উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেন এই শিল্পী, যার ক্যানভাসে শৈশবের প্রথম গন্ধ ছিল তেল রং আর থিনারের তীব্রতা। মেকআপ ব্যবহার করে তিনি যে ক্যানভাস তৈরি করেন-তা এক কথায় অনন্য, অসাধারণ। 

সোনালী মিতুয়া কখনও তার মুখে ফুটে ওঠে ফাটল ধরা পৃথিবী, যেখান থেকে গজিয়ে ওঠে সবুজ লতা। কখনও দেখা যায় তার মুখটাই এক অর্ধেক যন্ত্র, অর্ধেক প্রকৃতি, যেন মানুষ আর মেশিনের মাঝের এক অদ্ভুত, কাব্যময় দ্বন্দ্ব।আর কখনও সেই মুখটাই অন্ধকারে মিলিয়ে যায়, শুধু দেখা যায় এক ভয়ঙ্কর কালো গহ্বর — যেন মানুষের শূন্য আত্মা। এগুলো কোনো সিনেমার দৃশ্য না।এগুলো এক তরুণী মেকআপ আর্টিস্টের সৃষ্ট জীবন্ত শিল্পকর্ম।

আরো পড়ুন:

একা বাস করতে পারে যে পাখি

কেউ কটূক্তি করলে কী করবেন?

সোনালী মিতুয়ার মেকআপে একটা গল্প, একটা দর্শন, একটা গভীর বার্তা লুকিয়ে থাকে। যেখানে অধিকাংশ মানুষ মেকআপকে শুধু প্রসাধনের জগতে দেখে, সে সেখানে মেকআপকে তুলেছে এক উচ্চমাত্রার শিল্প হিসেবে। তার হাতে রঙ মানে—চামড়ার ওপরে নয়, বরং আত্মার ভাষা প্রকাশের এক মাধ্যম।

তার কাজে দেখা যায় প্রস্থেটিক মেকআপের প্রভাব— যেখানে মুখ বদলে যায়, গড়ে ওঠে নতুন রূপ, নতুন চরিত্র। এমন কৌশল একদিন তাকে সিনেমার পর্দায় প্রস্থেটিক আর্টিস্ট হিসেবে বড় জায়গায় নিয়ে যাবে—
এ কথা বলার জন্য বিশেষজ্ঞও হতে হয় না। 

এই মেয়েটির সবচেয়ে বড় শক্তি তার কল্পনাশক্তি। সে মুখের ভেতরেই ফুটিয়ে তোলে গল্প—একদিকে প্রকৃতি, ফুল, প্রজাপতি; অন্যদিকে প্রযুক্তি, ধ্বংস আর শূন্যতা। দেখলে মনে হয়, এই দুইয়ের টানাপোড়েনেই গড়ে উঠেছে তার শিল্পজগৎ।

বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য এই মেয়েটি এক অনুপ্রেরণা। সে প্রমাণ করছে—শিল্পের ভাষা যদি শক্ত হয়, তাহলে দেশের সীমা পেরিয়ে বিশ্বেও পৌঁছানো যায়। যেখানে মেকআপকে এখনো অনেকেই কেবল সাজের কাজ মনে করেন, এই মেয়েটি সেখানে দেখিয়েছে — মেকআপও হতে পারে দর্শন, প্রতিবাদ আর সৃষ্টির ক্যানভাস। 

তিনি জানেন,  প্রস্থেটিক আর্টে (বিশেষত কৃত্রিম অঙ্গ, ক্ষত বা ফ্যান্টাসি চরিত্র তৈরি) করা যায় দক্ষতার সাথে।  বর্তমানে বাংলাদেশের সিনেমায় যেখানে প্রস্থেটিকের ব্যবহার খুবই সীমিত, সেখানে সোনালী মিতুয়ার মতো একজন আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিল্পী আছেন, তার হাতেই তৈরি হতে পারে বাংলাদেশের ইতিহাসের চরিত্রদের নিখুঁত রূপ, অথবা আমাদের ফ্যান্টাসি সিনেমার ভিনগ্রহের প্রাণী।

সোনালী মিতুয়ার কাজগুলো দেখলেই বোঝা যায়, তিনি মেকআপকে স্রেফ সৌন্দর্যবর্ধনের মাধ্যম হিসেবে দেখেন না, বরং এটিকে একটি শক্তিশালী গল্প বলার হাতিয়ার মনে করেন। 

একটা ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন মানুষ প্রকৃতির মাঝে ফাটল ধরা পাথরের মতো এক রূপ ধারণ করেছেন। সবুজ, হলুদ ও লালের মিশ্রণে চোখের অংশটি গভীর এবং রহস্যময়, আর ফাটলের ভেতর দিয়ে বেরিয়ে আসা লতা-পাতা জীবনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এটি তার পরিবেশ-সচেতনতা এবং ফ্যান্টাসি আর্টের দক্ষতা প্রমাণ করে।

সাদাকালো স্কেচের মতো দেখতে এই মেকআপটি অত্যন্ত কঠিন এবং চোখে পড়ার মতো। মুখের প্রতিটি অংশে পেন্সিল বা চারকোল দিয়ে আঁকা হ্যাচিংয়ের মতো স্ট্রোকগুলো ত্রিমাত্রিক চেহারাটিকে দ্বিমাত্রিক কমিক-বুক বা নয়ার চলচ্চিত্রের চরিত্র হিসেবে ফুটিয়ে তুলেছে।

চোখ ও মুখের চারপাশে মাকড়সার জাল এবং ফুলা, রক্তবর্ণ চোখের পাপড়ি ভীতি ও কষ্টের এক শক্তিশালী অনুভূতি জাগায়। এটি বিশেষ করে হ্যালোইন বা হরর থিমের জন্য পারফেক্ট।

গভীর অন্ধকারে তোলা এই ছবিটি ‘অন্ধকার গহ্বর’ বা ‘কৃষ্ঞগহ্বর’ থিমের একটি চমকপ্রদ ইলিউশন মেকআপ। নিখুঁত কনট্যুরিং এবং রঙের ব্যবহারে মুখের এক অংশে যেন সত্যিই একটি ফাঁকা, গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কারা বেশি কাঁদেন? 
  • বর্তমান সংকটের জন্য সরকার দায়ী, দলগুলোর চাপে সিদ্ধান্ত বদল
  • প্রস্থেটিক মেকআপ আর্টে সোনালী মিতুয়ার বাজিমাত