বন্ধুর মোটরসাইকেলে চড়ে আত্মীয়ের বাড়িতে তানভির শোয়েব নিজের বিয়ের দাওয়াত দিতে যাচ্ছিলেন। পথে মোটরসাইকেলটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান তানভির। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর বন্ধুরও মৃত্যু হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কাঠালতলী এলাকায়।

নিহত তানভির শোয়েব (২৩) শায়েস্তাগঞ্জের ব্রাহ্মণডোরা গ্রামের বেনু মিয়ার ছেলে। তাঁর বন্ধু নিহত শাহ আলমের বাড়িও একই গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগামীকাল শুক্রবার তানভির শোয়েবের বিয়ের দিন ধার্য ছিল। বিয়ের দাওয়াত দিতে গতকাল সন্ধ্যায় মোটরসাইকেলে করে তানভির ও তাঁর বন্ধু শাহ আলম উপজেলার নূরপুর যাচ্ছিলেন। শাহ আলম মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁঠালতলী এলাকায় পৌঁছালে তাঁদের মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে আরেকটি মোটরসাইকেল ধাক্কা দেয়। এতে তানভির ও শাহ আলম সড়কে ছিটকে পড়েন। এ সময় সিলেটগামী একটি ট্রাক তাঁদের দুজনকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলে তানভির নিহত হন। শাহ আলমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

ওই ঘটনার পরপরই দুই চালক মোটরসাইকেল ও ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যান।

শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ কান্ত নাথ প্রথম আলোকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। তাঁদের লাশ থানায় রাখা হয়েছে। নিহত ভানভির শোয়েবের স্বজনেরা জানান, তাঁর বিয়ের দিন ছিল কাল শুক্রবার। এমন দুর্ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ হ আলম দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

তালাকপ্রাপ্ত নারীর ঘরে আটক পুলিশ সদস্য বললেন, ‘কালিমা পড়ে বিয়ে করেছি’

রাজশাহীতে তালাকপ্রাপ্ত এক নারীর ঘর থেকে পুলিশের এক কনস্টেবলকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। পরে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাতে নগরীর তালাইমারি বাদুড়তলা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

ওই পুলিশ কনস্টেবলের নাম টি এম নাসির উদ্দিন। তিনি পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের বেইজড ওয়ারলেস অপারেটর। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত তিনি নগরীর মতিহার থানায় ছিলেন।

ওই কনস্টেবলের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। সেখানে তার স্ত্রী-সন্তান আছে। যে নারীর ঘরে তাকে পাওয়া গেছে তার স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে।

কনস্টেবল নাসির দাবি করেন, আগের স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি ওই নারীকে কালেমা পড়ে বিয়ে করেছেন।

মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল মালেক বলেন, ‘‘তালাকপ্রাপ্ত নারী তার মায়ের বাড়িতেই থাকতেন। সেখানে রাতে আমাদের কনস্টেবল যান। তখন স্থানীয়রা দুজনকে ঘরে আটকে রেখে থানায় খবর দেন। আমরা গিয়ে তাদের থানায় এনেছি।’’

ওসি বলেন, ‘‘কনস্টেবল দাবি করেছেন, তিনি কালেমা পড়ে ওই নারীকে বিয়ে করেছেন। আগের স্ত্রীও বিষয়টি অবগত। তবে, বিয়ের কোনো রেজিস্ট্রি নেই। এখন তিনি রেজিস্ট্রি করে নিতে চাচ্ছেন। দুজনে থানায় আছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’

‘‘এক্ষেত্রে, কনস্টেবল নাসিরের আগের স্ত্রীর কোনো আপত্তি থাকলে তিনি আইনি পদক্ষেপ নিতে পারবেন।’’- যোগ করেন ওসি আবদুল মালেক।

রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘‘বিষয়টা আমার জানা নাই। এ রকম হয়ে থাকলে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/কেয়া/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ