ফখর জামানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষ
Published: 20th, February 2025 GMT
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগেই এক ধাক্কা খেয়েছে পাকিস্তান। ইনজুরি নিয়ে ছিটকে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দুর্দান্ত খেলা সাঈম আইয়ূব। এবার ইনজুরিতে ফখর জামানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষ।
পেটের মাংসপেশির ইনজুরিতে পড়েছেন বাঁ-হাতি টপ অর্ডার ব্যাটার ফখর। তার জায়গায় আসরের বাকি ম্যাচের জন্য ইমাম উল হককে দলে নিয়েছে পাকিস্তান।
ফখর জামান নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই ইনজুরিতে পড়েন। বাউন্ডারি ঠেকাতে গিয়ে পেটের মাংসপেশিতে টান পড়ে তার। তাৎক্ষণিক মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপর ফিল্ডিং করতে পারেননি।
যে কারণে ফখর পাকিস্তানের হয়ে ইনিংস ওপেন করতে পারেননি। চারে ব্যাট করতে নেমে রানের আশা দিলেও ২৪ রানে ফেরেন তিনি। পাকিস্তানও উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬০ রানে হেরেছে। নিউজিল্যান্ডের ৩২০ রানের জবাবে ২৬০ রান করতে পারে পাকিস্তান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইনজ র
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।