আগামীকাল শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আয়োজিত উন্মুক্ত কনসার্ট ‘রিবিল্ডিং দ্য নেশন’। কিন্তু হঠাৎ করেই এক দিন আগে তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়োজকেরা। নিরাপত্তার কারণে আপাতত কনসার্টটি স্থগিত করা হয়েছে বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাংস্কৃতিক সেলের সম্পাদক সালাউদ্দিন সৌরভ প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিরাপত্তা ইস্যুতে কনসার্টটি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

অংশগ্রহণকারী, দর্শক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিরাপত্তা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাই পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সবকিছু তৈরি ছিল, কিন্তু আমরা কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছি না। আমাদের পরিকল্পনা ছিল পরের সপ্তাহে পিছিয়ে নেব। কিন্তু পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে, তাই পরিকল্পনা আছে ঈদের পর আয়োজনের।’
এই কনসার্টের প্রধান আকর্ষণ ছিলেন নগরবাউল জেমস। কনসার্টে আরও গান গাওয়ার তালিকায় ছিল ব্যান্ড চিরকুট, আর্টসেল, সোনার বাংলা সার্কাস, বেঙ্গল সিম্ফনি, বাংলা ফাইভ, ক্রিপটিক ফেইট, কুঁড়েঘর, কাকতাল, সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ানসহ অনেকে।

নিরাপত্তার কারণে আপাতত কনসার্টটি স্থগিত করা হয়েছে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কনস র ট

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ