আইসিসির মঞ্চে অভিষেক সেঞ্চুরিতে ভাস্বর রিকেলটন
Published: 21st, February 2025 GMT
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০২৩ সালের মার্চে ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান রায়ান রিকেলটনের। এরপর তিনি প্রোটিয়াদের জার্সি গায়ে ছয়টি ম্যাচ খেলেছেন। সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৯১। যেটা তিনি ২০২৪ সালের ২ অক্টোবর আবুধাবিতে করেছিলেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
আজ শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামেন তিনি। আর আইসিসির মঞ্চে তুলে নেন ক্যারিয়ারের মেইডেন সেঞ্চুরি। এর মধ্য দিয়ে গড়েন ইতিহাসও। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কোনো ক্রিকেটার হিসেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে প্রথমবার খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। তার আগে আর কেউ এমন কীর্তি গড়তে পারেননি।
করাচিতে প্রোটিয়ারা টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে। ২৮ রানেই টনি ডি জর্জির উইকেট হারায় তারা। সেখান থেকে রিকেলটন ও টেম্বা বাভুমা ১২৯ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত পাইয়ে দেন। বাভুমা ৫ চারে ৫৮ রান করে আউট হলেও রিকেলটন তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি।
আরো পড়ুন:
আমরা কেবল অংশ নিতে আসিনি, শিরোপা জিততে চাই: শাহিদি
শান্ত জানালেন যেসব কারণে হেরেছে বাংলাদেশ
৪৮ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ফিফটি করেন। এরপর ১০১ বলে ৭টি চার ও ১ ছক্কায় পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের প্রথম তিন অঙ্ক। অবশ্য সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ১০৬ বলে ১০৩ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন ২৮ বছর বয়সী এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ক লটন র প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।