সবচেয়ে বেশি ফাঁস হওয়া ১০ পাসওয়ার্ড
Published: 21st, February 2025 GMT
সাইবার হামলা থেকে রক্ষা পেতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, স্মার্টফোন-কম্পিউটারের লক থেকে শুরু করে ই-মেইল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তায় কিছুদিন পরপর পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের পরামর্শও দিয়ে থাকেন তারা। কিন্তু তারপরও সহজে মনে রাখার জন্য দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন অনেকে। ফলে দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড সহজে সংগ্রহ করে অনলাইনে বিক্রি করছে সাইবার অপরাধীরা।
সম্প্রতি অনলাইনে ফাঁস হওয়া পাসওয়ার্ডগুলো পর্যালোচনা করে ওয়েব হোস্টিং প্রতিষ্ঠান ‘নোনহোস্ট’ সবচেয়ে বেশি ফাঁস হওয়া ১০ পাসওয়ার্ডের তালিকা তৈরি করেছে। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, সবচেয়ে বেশি ফাঁস হওয়া পাসওয়ার্ডের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে ‘123456’। প্রায় ৫ কোটি ২ লাখ বার ফাঁস হয়েছে পাসওয়ার্ডটি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ‘123456789’ পাসওয়ার্ড ফাঁস হয়েছে ২ কোটি ৫ লাখ ৯ হাজার বার।
সবচেয়ে বেশি ফাঁস হওয়া ১০ পাসওয়ার্ডের তালিকায় থাকা অন্য পাসওয়ার্ডগুলো হলো যথাক্রমে ‘1234’, ‘12345678’, ‘12345’, ‘Password’, ‘111111’, ‘admin’, ‘123123’ ও ‘abc123’।
আরও পড়ুনআপনার পাসওয়ার্ড কতটা নিরাপদ১৯ মে ২০২৩সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের তথ্যমতে, পাসওয়ার্ডে অবশ্যই ছোট-বড় অক্ষরের পাশাপাশি একাধিক সংখ্যা ও চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে। পাসওয়ার্ডের আকার যত বড় হবে, ততই তা শক্তিশালী হবে। পাসওয়ার্ড যতই শক্তিশালী হোক না কেন, প্রতিটি অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরও পড়ুনওয়াই-ফাইয়ের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে যা করতে হবে১৯ জুন ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প সওয় র ড ব যবহ র র প সওয় র ড প সওয় র ড র স হওয় সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ না হলে অবরোধের হুঁশিয়ারি আপ বাংলাদেশের
জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে গণজমায়েত থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। দাবি পূরণ না হলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের দাবি’ শীর্ষক গণজমায়েতে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আপ বাংলাদেশের নেতা–কর্মীরা। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পার হলেও জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারি না হওয়াকে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘আমরা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু আহতদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। আমরা দেখেছি, যারা জুলাইয়ের নেতৃত্বে ছিল, জুলাইয়ের পরে তাদের পকেট ভারী হয়েছে। আমি বলতে চাই, আপনাদের এই পকেটের হিসাব দিতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে আলী আহসান বলেন, ‘আপনারা জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে পারবেন কি পারবেন না, তা জানান; না পারলে আমরা আছি। যারা জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম, বাংলাদেশের (সেই) ২০ কোটি জনগণ জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করবে।’
আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক বলেন, ‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে যদি জুলাই ঘোষণাপত্র না হয়, তাহলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ শুরু হবে। এ সরকারের কোনো হুমকি আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।’
গণজমায়েতে অংশ নিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বলেন, আপ বাংলাদেশের নেতারা এখনো কোনো প্রটোকল ছাড়া রাস্তাঘাটে হাঁটেন। কিন্তু তাঁরা যেদিন প্রটোকল নিতে শুরু করবেন, সেদিন থেকে তাঁদের বিরুদ্ধেও তিনি কথা বলা শুরু করবেন।
জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির আহ্বান জানিয়ে শরীফ ওসমান বলেন, এখন পর্যন্ত বিদ্যমান আইনি কাঠামোয় জুলাই শহীদেরা রাষ্ট্রদ্রোহী। তাঁদেরকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। আজকের মধ্যে সরকার দিনক্ষণ না জানালে আগামী ৩ তারিখ (আগস্ট) ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে কফিন মিছিল নিয়ে সচিবালয় অবরোধ করা হবে।
বিগত এক বছর থেকে একটি দুর্বল সরকার দেশ চালাচ্ছে উল্লেখ করে আপ বাংলাদেশের সদস্যসচিব আরেফিন মোহাম্মদ বলেন, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে ঘোষণাপত্রের জন্য আমাদের আবারও গণজমায়েত করতে হচ্ছে। এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, ‘আমরা যে মৌলিক সংস্কার চেয়েছিলাম, এখনো তার কিছুই হয়নি। এখনো শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত হয়নি। আমি উপদেষ্টাদের উদ্দেশে বলতে চাই, অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা করুন। আপনাদের কাছে আমাদের চাওয়া–পাওয়া খুব বেশি নেই।’
গণজমায়েতে র্যাপ গান পরিবেশন করেন আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য আহনাফ তাহমিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন জুলাই শহীদ ওসমান পাটোয়ারীর বাবা আবদুর রহমান। গণজমায়েতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আপ বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত, প্রধান সংগঠক নাঈম আহমেদ, মুখপাত্র শাহরিন সুলতানা প্রমুখ।