সাইবার হামলা থেকে রক্ষা পেতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, স্মার্টফোন-কম্পিউটারের লক থেকে শুরু করে ই-মেইল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তায় কিছুদিন পরপর পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের পরামর্শও দিয়ে থাকেন তারা। কিন্তু তারপরও সহজে মনে রাখার জন্য দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন অনেকে। ফলে দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড সহজে সংগ্রহ করে অনলাইনে বিক্রি করছে সাইবার অপরাধীরা।

সম্প্রতি অনলাইনে ফাঁস হওয়া পাসওয়ার্ডগুলো পর্যালোচনা করে ওয়েব হোস্টিং প্রতিষ্ঠান ‘নোনহোস্ট’ সবচেয়ে বেশি ফাঁস হওয়া ১০ পাসওয়ার্ডের তালিকা তৈরি করেছে। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, সবচেয়ে বেশি ফাঁস হওয়া পাসওয়ার্ডের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে ‘123456’। প্রায় ৫ কোটি ২ লাখ বার ফাঁস হয়েছে পাসওয়ার্ডটি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ‘123456789’ পাসওয়ার্ড ফাঁস হয়েছে ২ কোটি ৫ লাখ ৯ হাজার বার।

সবচেয়ে বেশি ফাঁস হওয়া ১০ পাসওয়ার্ডের তালিকায় থাকা অন্য পাসওয়ার্ডগুলো হলো যথাক্রমে ‘1234’, ‘12345678’, ‘12345’, ‘Password’, ‘111111’, ‘admin’, ‘123123’ ও ‘abc123’।

আরও পড়ুনআপনার পাসওয়ার্ড কতটা নিরাপদ১৯ মে ২০২৩

সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের তথ্যমতে, পাসওয়ার্ডে অবশ্যই ছোট-বড় অক্ষরের পাশাপাশি একাধিক সংখ্যা ও চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে। পাসওয়ার্ডের আকার যত বড় হবে, ততই তা শক্তিশালী হবে। পাসওয়ার্ড যতই শক্তিশালী হোক না কেন, প্রতিটি অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

আরও পড়ুনওয়াই-ফাইয়ের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে যা করতে হবে১৯ জুন ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প সওয় র ড ব যবহ র র প সওয় র ড প সওয় র ড র স হওয় সবচ য়

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।  

প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।  কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।

মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।

নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ