রাজশাহী কারাগারে গরম পানিতে দগ্ধ কয়েদির মৃত্যু
Published: 21st, February 2025 GMT
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে দগ্ধ হওয়া এক কয়েদি চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি কারাগারে রান্নার সময় পা পিছলে ফুটন্ত গরম পানিতে পড়ে দগ্ধ হন তিনি।
মৃত কয়েদির (২১৬৭/এ) নাম বিপুল কুমার (৩৩)। তিনি নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর থানার লক্ষ্মীপুর ভান্ডারপুর এলাকার সুনীল চন্দ্র সরকারের ছেলে। নওগাঁ সদর থানার ২০১০ সালের একটি মাদক মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন তিনি।
রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা.
রামেক হাসপাতাল বার্ন ইউনিটের প্রধান চিকিৎসক ডা. আফরোজা নাজনীন জানান, গরম পানিতে পড়ে যাওয়ায় বিপুল কুমারের শরীরের ২০ শতাংশ মারাত্মকভাবে ঝলসে গিয়েছিল। বার্ন ইউনিটে ভর্তির পর তার অবস্থার অবনতি ঘটে। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে পরে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছিল। আর তাকে স্থানান্তরের জন্য হাসপতাল কর্তৃপক্ষ একটি অ্যাম্বুলেন্সেরও ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু ঢাকায় পাঠানোর আগেই দগ্ধ বিপুল কুমারের মৃত্যু হয়।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় বলেন, “রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। কারাবিধি অনুযায়ী এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
ঢাকা/কেয়া/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব র ন ইউন ট গরম প ন ত
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’