ছোট শিশুরা বাহারি রং, মাটি ও কাগজ দিয়ে তৈরি করেছে রঙিন-বর্ণিল সাজের শহীদ মিনার। সারা বছর টিফিনের টাকা থেকে জমানো অর্থ দিয়েই শহীদ মিনার তৈরি করেছে এই শিশুরা। তারা অপেক্ষায় থাকে একুশে ফেব্রুয়ারির। ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গকারী ভাষাশহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে তাদের জমানো অর্থ দিয়ে করে আয়োজন। এদিন শিশুরা দলে দলে ভাগ হয়ে তৈরি করে নানা রঙের শহীদ মিনার।

১৪ বছর ধরে বরিশাল নগরের রসুলপুর চরের শিশুরা মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে ঘিরে এমন ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন করে আসছে। তাদের আয়োজনে থাকে গান, নাচ, আবৃত্তি, পুরস্কার বিতরণসহ নানা অনুষ্ঠান। এই শিশুদের সবাই নিম্ন আয়ের পরিবারের। এবার এই শিশুরা ২৫টি শহীদ মিনার তৈরি করেছে।

কীর্তনখোলা নদী তীরে বিচ্ছিন্ন এক জনপদ হলো এই রসুলপুর। নদীর বাঁকে জেগে ওঠা এই চরে গড়ে উঠেছে সুবিধাবঞ্চিত-দরিদ্র মানুষের বসতি। এর নাম রসুলপুর কলোনি (বস্তি)। এলাকাটি বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য পড়লেও মূল শহর থেকে বিচ্ছিন্ন। আগে এই চরে শহীদ মিনার ছিল না। শিশুরাও জানত না শহীদ মিনার কী। কিন্তু এখন সেই শিশুরা সবই জানে।

গতকাল শুক্রবার ওই চরে দিনভর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আবৃত্তি, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও খাওয়াদাওয়ার আয়োজন ছিল। কলোনির অলিগলিতে, ঘিঞ্জি পরিবেশের মধ্যে সামর্থ্য অনুযায়ী গড়ে তোলা হয়েছে শহীদ মিনার। মাটির বেদিতে কাঠ, ইট দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে প্রতিটি মিনার। কাঠের গুঁড়ার সঙ্গে রং মিশিয়ে লেখা হয়েছে ভাষাশহীদদের নাম। অঙ্কিত হয়েছে মানচিত্র। রঙিন কাগজে আবৃত করা হয়েছে শহীদ মিনার এলাকা।

ছোট শিশুরা বাহারি রং, মাটি ও কাগজ দিয়ে তৈরি করেছে রঙিন-বর্ণিল সাজের শহীদ মিনার।.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মামলা করলেন ঢাবির সেই শিক্ষিকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষিকার এডিটেড ও ‘আপত্তিকর’ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা শেহরীন আনিম ভূঁইয়া মোনামী সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামালাটি করেন।

শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদ মনসুর রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন আসামি মুজতবা খন্দকার সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট। মুজতবা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শিক্ষিকার ছবি অশালীনভাবে এডিট করে পোস্ট করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনি, পোশাকের স্বাধীনতায় পরেছে বিকিনি।”

এছাড়া আরো তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। মামলায় বেশ কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে, যারা এই ছবি ও তথ্য ছড়াতে সাহায্য করেছেন।

ঢাকা/এমআর/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ