ঠাকুরগাঁওয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ককে কুপিয়ে জখম
Published: 22nd, February 2025 GMT
ঠাকুরগাঁওয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক কবিরুল ইসলাম ওরফে জয়কে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার ভোরে সদর উপজেলার ভুল্লী এলাকার বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় কবিরুলকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কবিরুল ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কেশুরবাড়ি এলাকার মৃত মতিউর রহমানের ছেলে।
কবিরুল জানান, জুলাই আন্দোলনে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সে সময় পুলিশের গুলিতে তিনি আহত হন। তার শরীরে প্রায় ২৭টি গুলির চিহ্ন রয়েছে। তার চোখেও গুলি লাগে। চোখের চিকিৎসার জন্য ১৯ ফেব্রুয়ারি তিনি ঢাকায় গিয়েছিলেন। শুক্রবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে রাত দুটার দিকে একজন তার কাছে ফোন করে জানতে চান, তিনি কোথায় আছেন। সে সময় কবিরুল তাকে ঠাকুরগাঁও ফিরছেন বলে জানান।
কবিরুল বলেন, ঢাকার একটি বাসে করে আজ ভোরে ঠাকুরগাঁও শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নেমে অটোরিকশায় বাড়ির দিকে রওনা হই। পাঁচটার দিকে ভুল্লী এলাকায় পৌঁছালে দুইটি মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা আমার ওপর হামলা চালায়। তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। তবে আমি হামলাকারীদের চিনতে পারিনি।’
দুর্বৃত্তরা কবিরুলকে কুপিয়ে ফেলে যাওয়ার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান ।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রাকিবুল ইসলাম বলেন, কবিরুলের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সেসব জায়গায় সেলাই দেওয়া হয়েছে। তাকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের ভুল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। তবে এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঠ ক রগ ও
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, চালক আটক
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে চলন্ত বাসে এক কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে বাসচালককে আটক করেছেন স্থানীয়রা। এসময় পালিয়ে গেছেন চালকের সহকারী।
রবিবার (১৫ জুন) দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার আউশকান্দির তিনতালাব পুকুরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক বাসচালক সাব্বির মিয়া (২৫) উপজেলার ইনাতাবাদ বাংলাবাজার এলাকার ছাতির আলীর ছেলে। পালিয়ে যাওয়া হেলপার লিটন মিয়া সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বাসিন্দা।
নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. দুলাল মিয়া বলেন, ‘‘রবিবার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের উদ্দেশে বাসে উঠেন ওই কলেজছাত্রী। শায়েস্তাগঞ্জে নামার কথা থাকলেও বাসে ঘুমিয়ে পড়ায় তাকে নামিয়ে দেওয়া হয় শেরপুরে। পরে বাড়ি ফেরার জন্য মা এন্টারপ্রাইজের একটি লোকাল বাসে উঠেন তিনি। বাসটি আউশকান্দিতে পৌঁছালে অন্য যাত্রীরা নেমে যান। এরপর চালক ও হেলপার ওই ছাত্রীকে বাসের ভেতরে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগীর চিৎকারে স্থানীয়রা বাস থামিয়ে চালককে ধরে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে।’’
আরো পড়ুন:
রাজবাড়ীতে ২ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
ঢাকা/মামুন/রাজীব