মনোবল বাড়াতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গেলেন বাবর
Published: 22nd, February 2025 GMT
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের দেখতে গেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। আজ শনিবার রাত সাড়ে আটটার পর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এবং জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) যান তিনি। সেখানে তিনি প্রত্যেক আহত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন।
আন্দোলনের সময় আহত এসব ব্যক্তি কীভাবে গুলিবিদ্ধ হন, কীভাবে গুরুতর জখম হয়েছেন, সেসব কথা তাঁরা বাবরকে বলেন। তিনি তাঁদের মনোবল না হারাতে সাহস জোগান। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশাপাশি তিনিও সব সময় তাঁদের পাশে থাকবেন বলে আশ্বাস দেন।
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আহত মিজানুর রহমান সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে বলেন, আন্দোলনের সময় গুলিতে তিনি চোখ হারিয়েছেন। শুধু মিজানুরই নন, তাঁর মতো সেখানে চিকিৎসাধীন বেশ কয়েকজন কিশোর, যাদের চোখে গুলি লেগেছে, তাদের সবার সঙ্গে বেশ কয়েক মিনিট ধরে কথা বলেন লুৎফুজ্জামান বাবর। একজন কিশোর সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে হটাতে জীবন হাতে নিয়ে পুলিশের গুলির মুখে লড়াই করেছেন। তিনি চোখও হারিয়েছেন।
সাবেক এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে বেশ কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে কাঁদতে দেখা যায়। লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষ থেকে আহত প্রত্যেককে ফল দেওয়া হয়েছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলার পর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর প্রথম আলোকে বলেন, আহত ব্যক্তিদের জন্য অনেক কিছু করার আছে। তাঁদের কেউ চোখ হারিয়েছেন, কেউ অঙ্গ হারিয়েছেন, যা অনেক বেদনার।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর কারাগারে ছিলেন তিনি। গত ১৬ জানুয়ারি তিনি কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন।
লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরি) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের সপ্তম ও অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন। তিনি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাজেকে চান্দের গাড়ি খাদে পড়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিহত
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় চান্দের গাড়ি খাদে পড়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পর্যটনকেন্দ্র সাজেকে যাওয়ার পথে হাউসপাড়া নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ১২ জন আহত হয়েছেন।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম মোছা. রুবিনা আফসানা (রিংকী)। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। আহতদের মধ্যে ১১ জন একই বিভাগের শিক্ষার্থী এবং একজন শিক্ষক বলে জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
হবিগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
কুমিল্লায় অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২
স্থানীয় সূত্র জানায়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি দল খাগড়াছড়ি থেকে চান্দের গাড়িতে করে সাজেক যাচ্ছিল। পথে হাউসপাড়া এলাকায় উঁচু পাহাড়ে উঠতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে রুবিনা আফসানা নামের ওই শিক্ষার্থী মারা যান। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমেনা মারজান বলেন, ‘‘দুর্ঘটনায় একজন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’
ঢাকা/শংকর/রাজীব