এডুকো শিক্ষা মেলা ২০২৫ অনুষ্ঠিত
Published: 22nd, February 2025 GMT
রাজধানী ঢাকার দ্য ওয়েস্টিন হোটেলে শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে এডুকো শিক্ষা মেলা ২০২৫। এ আয়োজনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১০০টি দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এখানে শিক্ষার্থীরা বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সম্পর্কে জানার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়, ভর্তি, বৃত্তি ও পরামর্শ গ্রহণের সুযোগ পান।
এডুকো এডুকেশন এক্সপো ২০২৫ নামের এ মেলার আয়োজক এডুকো পাথওয়েজ বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এ আয়োজন শিক্ষার্থী ও আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সরাসরি নেটওয়ার্ক গড়ার এক দুর্লভ সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এতে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, ফ্রান্স ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। মেলায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে একাডেমিক প্রোগ্রাম, বৃত্তি ও ক্যাম্পাস–জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
এডুকো পাথওয়েজ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) থমাস পঙ্কজ গোমেজ বলেন, ‘একই মঞ্চে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী এবং বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সমাগম আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আমাদের লক্ষ্যই হলো শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক উচ্চশিক্ষাকে সহজলভ্য করা এবং তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করা। ভবিষ্যতেও আমরা এ ধরনের সুযোগ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এ আয়োজন ছিল বিনা মূল্যে ও সবার জন্য উন্মুক্ত, যাতে শিক্ষার্থীরা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনাকে এগিয়ে নিতে পারেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত দায়িত্ব: বাংলাদেশ
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম বলেছেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা, নিরাপদ, সম্মানজনক ও টেকসই প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করার জন্য বাংলাদেশ সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের অধিকার ও মর্যাদা সমুন্নত রাখা এবং তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য দ্রুত একটি অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত দায়িত্ব।
শুক্রবার বিকেলে জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের চলমান ৫৯তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ওআইসির উদ্যোগে উত্থাপিত ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক রেজ্যুলুশন গৃহীত হওয়ার আগে মানবাধিকার পরিষদে দেওয়া বক্তব্যে তারেক মো. আরিফুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, রাখাইনে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং ‘আরাকান আর্মি’র মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীসমূহের মধ্যকার চলমান সংঘাত মানবিক সহায়তা কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে এবং রোহিঙ্গাদের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে। এ সময় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মানবাধিকার পরিষদকে অবহিত করে উল্লেখ করেন যে, রাখাইন রাজ্যে চলমান হত্যাযজ্ঞ, নিপীড়ন এবং সহিংসতা এড়াতে শুধুমাত্র ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
এ ছাড়াও আগামী সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে রোহিঙ্গা বিষয়ে আয়োজিতব্য উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানকল্পে বাস্তবমুখী এবং সময়াবদ্ধ সমাধান খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের চলমান ৫৯তম অধিবেশনে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কিত রেজ্যুলুশনটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। রেজুল্যুশনে রোহিঙ্গাদের জন্য ক্রমহ্রাসমান মানবিক সহায়তার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবিক সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অধিকতর দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। এ ছাড়াও এতে জাতিসংঘ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাসমূহকে রাখাইনে নিরবিচ্ছিন্ন এবং পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানানো হয়।
রেজ্যুলুশনটিতে রাখাইনে বিচারহীনতা ও দায়মুক্তির সংস্কৃতি অবসানের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি রাখাইন রাজ্যের সব স্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গা মুসলমানদের অংশগ্রহণ এবং অর্থপূর্ণ প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসন কাঠামো স্থাপনের আহ্বান জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুন ২০২৫ তারিখে শুরু হওয়া জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের চলমান ৫৯তম অধিবেশন আগামী ৯ জুলাই ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত হবে।