দীর্ঘদিন ‘জেমস বন্ড’ সিরিজের নিয়ন্ত্রণ ছিল ইয়ন ফিল্মসের হাতে। ‘ডক্টর নো’ থেকে ২০২১ সালে সবশেষ ‘নো টাইম টু ডাই’ মোট ২৫টি সিনেমা প্রযোজনা করেছে ইয়ন ফিল্মস। মাত্র দুটি সিনেমা ‘ক্যাসিনো রয়েল’(১৯৬৭) ও ‘নেভার সে নেভার এগেইন’(১৯৮৩) তৈরি হয়েছে অন্য প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে। জেমস বন্ড কোন চশমা পরবে, কোন গাড়িতে চড়বে, কোন অস্ত্রে ঘায়েল করবে শত্রুদের—সব ঠিক করতেন ইয়নের স্বত্বাধিকারী মাইকেল জি উইলসন ও বারবারা ব্রোকলি। তবে গত বৃহস্পতিবার নতুন চুক্তির ফলে জেমস বন্ডের সৃজনশীল নিয়ন্ত্রণ আর থাকছে না উইলসন ও ব্রোকলির হাতে। খবর বিবিসির
কী আছে নতুন চুক্তিতে
অ্যামাজন এমজিএম স্টুডিও ও ইয়ন ফিল্মসের মধ্যে চুক্তির আওতায় জেমস বন্ডের সৃজনশীল নিয়ন্ত্রণ আর থাকছে না মাইকেল জি উইলসন ও বারবারা ব্রোকলির হাতে। সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে দীর্ঘ সময় হলিউডে রাজত্ব করছে জেমস বন্ড।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’