নেত্রকোনায় গণসংবর্ধনায় বাবর বললেন, দেশে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে
Published: 23rd, February 2025 GMT
নেত্রকোনায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে শহরের মোক্তারপাড়া মাঠে জেলা বিএনপি এই সংবর্ধনার আয়োজন করে। এতে বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম ঘটে। সংবর্ধনায় বাবর বলেন, দেশে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। দেশবাসী যেন ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা না দেন।
আরও পড়ুনমনোবল বাড়াতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গেলেন বাবর১৯ ঘণ্টা আগেসংবর্ধনা নিয়ে প্রায় সাত মিনিট বক্তব্য দেন লুৎফুজ্জামান বাবর। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো অন্যায় করিনি। কিন্তু একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে কারাগারে রাখা হয়েছিল। আল্লাহপাক আপনাদের দোয়া কবুল করে আমাকে মুক্তি দিয়েছেন। দেশের জনগণের স্বার্থ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে আমি কোনো কাজ করিনি। জনগণের স্বার্থ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমি জীবন দিতে প্রস্তুত।’
সত্যের জয় হয়েছে দাবি করে বাবর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমার নেতা তারেক রহমান ও নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি মিথ্যা সাক্ষী দিতে চাপ দিয়েছিল। কিন্তু আমি এসব পরোয়া করিনি। শুধু আল্লাহকে ডেকেছি। সত্যের জয় হয়েছে।’
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বাবর বলেন, ‘দেশে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রের ফাঁদে দলীয় নেতা-কর্মী, ভাই-বোনদের বলছি, আপনারা কোনো ফাঁদে পা দেবেন না। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে আমি বর্তমান সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকার যাতে আসতে পারে, সে জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আপনারা প্রস্তুত থাকুন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা নতুন দেশ গড়ে তুলব। নির্বাচনে যদি আমরা জয়ী হই, আমার নিজ জেলা নেত্রকোনায় বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হবে।’
গণসংবর্ধনায় বক্তব্য দিচ্ছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপিনেতা লুৎফুজ্জামান বাবর। রোববার বিকেলে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া মাঠে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে বিএনপি নেতা তাওলাদের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম
বন্দর উপজেলা বিএনপি নেতা তাওলাদ মাহমুদকে প্রকাশ্য দিবালোকে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দোসরা হামলা চালিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে।
সে ঘটনা মামলা করা হলো এখনো বন্দর থানা পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত মূল হোতাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ঘটনার সাথে জড়িত হামলাকারীদের আগামী ৭২ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়েছে বন্দর উপজেলা বিএনপি।
শনিবার ( ১ নভেম্বর) সকালে মদনপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটন তাওলাদ মাহমুদের উপর নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে হামলার সাথে জড়িত আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দোসরদের গ্রেপ্তারের এই দাবি জানান।
সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ফ্যাসিস শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেল কিন্তু তার দোসরা এখনো রয়ে গেছে। মুছাপুর ইউনিয়ন তথা বন্দর উপজেলার বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা দীর্ঘ ১৭টি বছর আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দোসর দ্বারা নির্যাতিত হয়েছিল।
এখনো আওয়ামী লীগের দোষরদের দ্বারা বিএনপি নেতা কর্মীরা নির্যাতিত হবে এটা খুবই দুঃখজনক। ৫ তারিখের পরও কিন্তু তারা আত্মগোপনে ছিল। কিন্তু কতিপয় কিছু নেতা ও প্রশাসনের কারণে তারা এখনো আবারো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তারা আবারও নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য বিএনপি নেতাকর্মী ও নিরীহ জনগণের উপর হামলা চালাচ্ছে।
তারা আরও বলেন, তাওলাদ মাহমুদ উপর হামলার ঘটনায় মামলাআওয়ামী লীগে ও জাতীয় পার্টির দোসরদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ঘটনায় মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক মামলা রয়েছে। কিন্তু বন্দর থানা পুলিশ প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপে নিচ্ছে না।
ফলে প্রতিনিয়ত তারা হামলা মামলা নির্যাতন সহকারে বিভিন্ন অপরাধ করে বেড়াচ্ছ । মুছাপুরের জনগণ তাদের হাত থেকে মুক্তি চায়। অবিলম্বে বিএনপি নেতা তাওলাত মাহমুদের ঘটনার সাথে জড়িত সকল আসামীদের গ্রেপ্তারের ৭২ ঘণ্টার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে সব সময় বেঁধে দিলাম আমরা উপজেলা বিএনপি।
যদি আগামী ৭২ ঘণ্টার মাধ্যমে তাওলাদ মাহমুদের উপর হামলাকারী মূল হোতাদেরকে গ্রেফতার করা না হয় তাহলে আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো। তার জন্য কিন্তু সকল দায়ভার পুলিশ প্রশাসনকেই নিতে হবে।