গিয়াসউদ্দিনের সাথে একই মঞ্চে
Published: 23rd, February 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় দায়ের করা একাধিক হত্যা মামলার আসামি রশিদ মেম্বারকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের সাথে একই মঞ্চে দেখা গেছে।
রোববার বিকেলে বক্তাবলী ইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে দেখা গেছে রশিদ কে। বিএনপি নেতাদের পাশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিকে দেখায় বেশ সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের এই মেম্বার আব্দুর রশিদ বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে সন্ত্রাসীদের গডফাদার সাবেক এমপি শামীম ওসমানের আস্থাভাজন হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলেন এলাকাতে।
৫ আগস্টের পর তার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী একাধিক হত্যা মামলাও দায়ের করা হয়। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তারও করেছিল র্যাব। জামিনে কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে এখন নতুন করে রশিদ মেম্বার বিএনপিতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আর এই কাজে তাকে সহযোগিতা করছেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলী ও আবুল খায়ের।
রোববার একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন।
একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিলন মেহেদী , কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মঈনুল ইসলাম রতন, সাধারণ সম্পাদক আরিফ মন্ডল প্রমূখ নেতা।
বিএনপির এতো নেতার মাঝেই মঞ্চে ডেকে উঠানো হয় ছাত্র আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি রশিদ মেম্বারকে। মাইকে তার নাম ঘোষণা করেন আবুল খায়ের।
বিএনপির নেতাদের পাশে বসে এসময় বেশ হাসিখুশি দেখা যায় রশিদ মেম্বারকে। যা নিয়ে বেশ সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়।
গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।
টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন।
এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’
সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।