বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় দায়ের করা একাধিক হত্যা মামলার আসামি রশিদ মেম্বারকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের সাথে একই মঞ্চে দেখা গেছে। 

রোববার বিকেলে বক্তাবলী ইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে দেখা গেছে রশিদ কে। বিএনপি নেতাদের পাশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিকে দেখায় বেশ সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের এই মেম্বার আব্দুর রশিদ বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে সন্ত্রাসীদের গডফাদার সাবেক এমপি শামীম ওসমানের আস্থাভাজন হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলেন এলাকাতে।

৫ আগস্টের পর তার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী একাধিক হত্যা মামলাও দায়ের করা হয়। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তারও করেছিল র‌্যাব। জামিনে কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে এখন নতুন করে রশিদ মেম্বার বিএনপিতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আর এই কাজে তাকে সহযোগিতা করছেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলী ও আবুল খায়ের।

রোববার একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন।

একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিলন মেহেদী , কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মঈনুল ইসলাম রতন, সাধারণ সম্পাদক আরিফ মন্ডল প্রমূখ নেতা।

বিএনপির এতো নেতার মাঝেই মঞ্চে ডেকে উঠানো হয় ছাত্র আন্দোলনে একাধিক  হত্যা মামলার আসামি রশিদ মেম্বারকে। মাইকে তার নাম ঘোষণা করেন আবুল খায়ের।

বিএনপির নেতাদের পাশে বসে এসময় বেশ হাসিখুশি দেখা যায় রশিদ মেম্বারকে। যা নিয়ে বেশ সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স

এছাড়াও পড়ুন:

'মানসিক ভারসাম্যহীন' বৃদ্ধের ব্যাগে সাড়ে ৩ লাখ টাকা

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় 'মানসিক ভারসাম্যহীন' এক বৃদ্ধের ময়লা কাপড়ের ব্যাগে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৫২ টাকা পাওয়া গেছে। শনিবার বিকেলে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা পোস্ট অফিস মোড় এলাকায় গোসল করানোর সময় তাঁর ব্যাগ তল্লাশি করে ওই টাকা পান। পুলিশ টাকাসহ বৃদ্ধকে নিজেদের জিম্মায় নিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, আবদুল গনি নামের ওই বৃদ্ধকে শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক, পুলিশ ক্লাব ও পোস্ট অফিস মোড় এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে দেখা যায়। কারও কাছে তিনি কখনও টাকা চান না। লোকজন এমনিতেই তাকে টাকা ও খাবার দিতেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কয়েকজন সদস্য তাকে গোসল করানোর উদ্যোগ নেন। তাকে ধরে তারা গায়ের পোশাক খুলছিলেন। এ সময় তার গায়ের শার্টের হাতা, কলার ও কাপড়ের ব্যাগে টাকাগুলো পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ওসি ফইম উদ্দিন বলেন, 'ওই বৃদ্ধের নাম আবদুল গনি বলে জানা গেছে। তার কাছ থেকে পাওয়া টাকা পুলিশের জিম্মায় রয়েছে। তার নিকটাত্মীয়-স্বজন খোঁজা হচ্ছে। কাউকে পেলে টাকাসহ তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।'

সম্পর্কিত নিবন্ধ