বইমেলায় শাওন মাহমুদের ‘থার্টি সেকেন্ড কোয়ান্টাম থিওরি’
Published: 23rd, February 2025 GMT
অমর একুশে বইমেলায় কোয়ান্টাম বিজ্ঞানের বিশেষ অনূদিত বই ‘থার্টি সেকেন্ড কোয়ান্টাম থিওরি’ নিয়ে এসেছেন বিজ্ঞানপ্রিয় এর প্রতিষ্ঠাতা শাওন মাহমুদ।
বইটি মূলত ইংরেজ বিজ্ঞান লেখক ব্রায়ান ক্লেগ সম্পাদিত ‘থার্টি সেকেন্ড কোয়ান্টাম থিওরি’র বাংলায় ভাষান্তর। বইটি একুশে বইমেলায় অন্বেষা প্রকাশনের ৭০৯-৭১২ নম্বর স্টলে পাওয়া যাবে।
বইটি সম্পর্কে শাওন বলেন, “বিজ্ঞানের সবচেয়ে থ্রিলিং টপিক কোয়ান্টাম। কোয়ান্টাম থিওরি কিছুটা জটিল। তবে দুর্বোধ্য নয়। রিচার্ড ফাইনম্যান বলেছেন, ‘তুমি যদি মনে করো কোয়ান্টাম বোঝ, তবে তুমি কিছুই বোঝনি।’ কিন্তু ছোট ছোট ঝর্নাধারা মিলে যেমন বড় নদীর সৃষ্টি হয়, তেমনি ছোট ছোট চিন্তার খোরাক পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্বোধ্য বিষয়কেও পানির মতো সহজ করে দেয়। এ বইয়ে সেই কৌশলই খাটানো হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
দিনশেষে বই একটি সৃজনশীল পণ্য: পলাশ মাহবুব
‘গভর্নরের স্মৃতিকথা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
তিনি বলেন, “কোয়ান্টাম তত্ত্ব সহজে বোঝার জন্য যেসব গুরুত্বপূর্ণ টার্ম রয়েছে, প্রত্যেকটিকে ৩০ সেকেন্ডে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এ বইয়ে। সাজানো হয়েছে আবিষ্কারের টাইমলাইন অনুসারে। ৫০টি রোমাঞ্চকর অধ্যায়। দুর্ধর্ষ ৭টি পর্ব!”
“৩০ সেকেন্ডে যথেষ্ট নয়? তাহলে আপনার জন্য প্রতি অধ্যায়ে রয়েছে ৩ মিনিটের চিন্তার খোরাক। টার্মগুলোর সঙ্গে জড়িত যেসব গল্প না জানলেই নয়, সেগুলোও ছবিসহ রয়েছে প্রতি অধ্যায়ে। রয়েছে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু সময়ের গল্প ও টাইমলাইন। সহজ ভাষায়, বইটি কোয়ান্টাম তত্ত্বের একটা ম্যাপ। এ ম্যাপ ধরে অগ্রসর হলে কোয়ান্টাম তত্ত্বের গতিবিধি বোঝা সহজ হবে এবং আগ্রহ বাড়বে,” যুক্ত করেন শাওন।
শাওন মাহমুদ পড়াশোনা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে। ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠা করেছেন জনপ্রিয় বিজ্ঞানভিত্তিক সংগঠন ‘বিজ্ঞানপ্রিয়’, যা এখন পর্যন্ত বাংলা ভাষায় সর্ববৃহৎ বিজ্ঞানের নেটওয়ার্ক। ডিজিটাল বিজ্ঞান শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যের রাজ পরিবার থেকে পেয়েছেন ‘দ্য ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড’।
ঢাকা/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।
মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।
মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ