রেকর্ড গড়েই এমএলএসের নতুন মৌসুম শুরু করলেন মেসি
Published: 24th, February 2025 GMT
গত বৃহস্পতিবার কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে গোল করে বছরটা শুরু করেন লিওনেল মেসি। এরপর আজ সকালে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) নতুন মৌসুমেও ঝলক দেখিয়েছেন মেসি। নিজে গোল না পেলেও হারতে থাকা ইন্টার মায়ামিকে জোড়া গোলে সহায়তা করেছেন এই ফরোয়ার্ড।
আর্জেন্টাইন মহাতারকার কল্যাণে নিউইয়র্ক সিটির বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত ২–২ গোলে ড্র করে মাঠ ছাড়ে ইন্টার মায়ামি। এই ম্যাচে প্রথম গোলে সহায়তা করে নতুন এক রেকর্ড গড়েছেন মেসি। পরে অবশ্য রেকর্ডটা আরও সমৃদ্ধ করেছেন তিনি।
চেজ স্টেডিয়ামে আজ ম্যাচের ৫ মিনিটে টমাস আভিলেসের গোলে সহায়তা করেন মেসি। নিউইয়র্কের পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়া মেসি বাঁ পায়ে বল ঠেলে দেন টমাস আভিলেসের কাছে।
আরও পড়ুনমেসি–ঝলকে বাঁচল প্রায় ৮০ মিনিট ১০ জন নিয়ে খেলা মায়ামি২১ ঘণ্টা আগেমেসির কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করতে একেবারেই বেগ পেতে হয়নি আভিলেসের। এই গোলের মধ্য দিয়ে এমএলএসের ইতিহাসে দ্রুততম সময়ে ৪০ গোলে অবদান (২১ গোল ও ১৯ গোলে সহায়তা) রাখার নতুন রেকর্ড গড়েছেন বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকা।
মাত্র ২৬ লিগ ম্যাচে এই রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন মেসি। পাশাপাশি এদিন দুই গোলে সহায়তা করে ক্যারিয়ারে নিজের মোট অ্যাসিস্টের সংখ্যাটাকে ৩৮১–তে নিয়ে গেলেন সাবেক এই বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। এই রেকর্ডে মেসির আশপাশেও নেই কেউ।
ম্যাচ শেষে দলকে হার থেকে বাঁচানো মেসির দারুণ প্রশংসা করেছেন ইন্টার মায়ামি কোচ হ্যাভিয়ের মাচেরানো।
৩৭ বছর বয়সী মেসিকে নিয়ে মাচেরানো বলেন, ‘সে এই দলের প্রাণ। মাঠে নিশ্চয়ই আপনারা সেটা দেখেছেন। সে মাঠে এমন একজন শিশুর মতো খেলে, যে কখনো হারতে চায় না। এটাই আমাদেরকে অনেকটা এগিয়ে রেখেছে। বিষয়টা শুধু সে মাঠে কী করে, তা নয়; বরং সতীর্থর্দের মধ্যে সে যেভাবে বিষয়টা ছড়িয়ে দেয়, সেটাও দারুণ। ৩৭ বছর বয়সে সে যা অর্জন করছে, সেটা অসাধারণ।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ: কী, কেন, কীভাবে
ফিফা বিশ্বকাপ বলতে অনেকে যা বোঝেন, জাতীয় দলগুলোকে নিয়ে আয়োজিত সেই বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের জুন–জুলাইয়ে। এবারের জুন–জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ক্লাব নিয়ে আয়োজিত বিশ্বকাপ। আনুষ্ঠানিকভাবে যা ‘ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ’ নামে পরিচিত।
ক্লাব বিশ্বকাপ কি নতুন কিছু
না। ২০০০ সাল থেকেই ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ হয়ে আসছে। কখনো ৬ দল, কখনো ৭ দল নিয়ে। তবে বিভিন্ন মহাদেশের ক্লাব প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে আয়োজিত সেই বিশ্বকাপ খুব বেশি সাড়া ফেলতে পারেনি। বছরের শেষ দিকে ১০ দিনের মধ্যে অল্প কটি ম্যাচের মধ্যে শেষ হয়ে যেত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। এই করে করে এরই মধ্যে আয়োজিত হয়ে গেছে ২০টি আসর। তবে এবার ক্লাব বিশ্বকাপকে বৈশ্বিক রূপ দেওয়ার জন্য টুর্নামেন্টের কলেবর বাড়িয়েছে ফিফা। পৃথিবীর ছয় মহাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছে মোট ৩২টি ক্লাব, যেমনটা জাতীয় দলের বিশ্বকাপে এত দিন হয়ে এসেছে।
ফরম্যাট কি বিশ্বকাপের মতোই
হ্যাঁ, জাতীয় দলগুলোকে নিয়ে আয়োজিত ফিফা বিশ্বকাপের মতোই (যদিও ২০২৬ আসরে অংশ নেবে ৪৮টি দেশ)। ৩২টি দল মোট ৮টি গ্রুপে ভাগ হয়েছে। প্রতি গ্রুপের সেরা দুই দল উঠবে শেষ ষোলোয়, সেখান থেকে একের পর এক নকআউট। এক মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি শহরে অনুষ্ঠিত হবে মোট ৬৩টি ম্যাচ।
৩২ দল কীভাবে চূড়ান্ত হয়েছে?
দল চূড়ান্ত হয়েছে বিভিন্ন পদ্ধতিতে। মোটের ওপর সর্বশেষ চার মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নদেরই জায়গা দেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ ১২টি ক্লাব আছে ইউরোপের, দক্ষিণ আমেরিকার আছে ৬টি। আবার অপেক্ষাকৃত দুর্বল ওশেনিয়া ফুটবল ফেডারেশন থেকেও দল আছে একটি। আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বরাদ্দ ছিল একটি জায়গা। ২০২৪ এমএলএস সাপোর্টাস শিল্ড জিতে সেটি পেয়েছে ইন্টার মায়ামি। এমএলএস থেকে দল অবশ্য আরও একটি আছে। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী যোগ্যতা থাকলেও একই মালিকানার দুটি ক্লাব টুর্নামেন্টে খেলতে পারবে না। প্লে–অফের মাধ্যমে একটি চূড়ান্ত হবে। এই প্রক্রিয়ায় লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি যুক্ত হয়েছে।
দলগুলো কারা
এশিয়া (এএফসি): আল হিলাল (সৌদি আরব), উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস (জাপান), আল আইন (সংযুক্ত আরব আমিরাত), উলসান (দক্ষিণ কোরিয়া)।
আফ্রিকা (সিএএফ): আল–আহলি (মিসর), ওয়াইদাদ (মরক্কো), এসপেরানস দি তিউনিস (তিউনিসিয়া), মামেলোদি সানডাউনস (দক্ষিণ আফ্রিকা)।
উত্তর, মধ্য ও ক্যারিবিয়ান (কনক্যাকাফ): মনটেরি (মেক্সিকো), সিয়াটল সাউন্ডার্স (যুক্তরাষ্ট্র), পাচুয়া (মেক্সিকো), লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি (যুক্তরাষ্ট্র)।
দক্ষিণ আমেরিকা (কনমেবল): পালমেইরাস (ব্রাজিল), ফ্ল্যামেঙ্গো (ব্রাজিল), ফ্লুমিনেজ (ব্রাজিল), বোতাফোগো (ব্রাজিল), রিভার প্লেট (আর্জেন্টিনা), বোকা জুনিয়র্স (আর্জেন্টিনা)।
ইউরোপ (উয়েফা): চেলসি (ইংল্যান্ড), রিয়াল মাদ্রিদ (স্পেন), ম্যানচেস্টার সিটি (ইংল্যান্ড), বায়ার্ন মিউনিখ (জার্মানি), পিএসজি (ফ্রান্স), ইন্টার মিলান (ইতালি), পোর্তো (পর্তুগাল), বেনফিকা (পর্তুগাল), বরুসিয়া ডর্টমুন্ড (জার্মানি), জুভেন্টাস (ইতালি), আতলেতিকো মাদ্রিদ (স্পেন), রেড বুল সালজবুর্গ (অস্ট্রিয়া)।
ওশেনিয়া (ওএফসি): অকল্যান্ড সিটি (নিউজিল্যান্ড)।
আয়োজক দেশের দল: ইন্টার মায়ামি (যুক্তরাষ্ট্র)।
ক্লাব বিশ্বকাপের ট্রফি যখন মিসরে।