ডিসেম্বরের আগেই কয়েকটি মামলার বিচার হবে: চিফ প্রসিকিউটর
Published: 24th, February 2025 GMT
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছেন, নির্বাচনের আগে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানসহ শীর্ষ কয়েকজনের নামে দায়ের হওয়া বেশ কয়েকটি মামলার বিচারকাজ শেষ হবে। মার্চে তদন্তপ্রক্রিয়া শেষে এপ্রিলে সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
সোমবার দুপুরে রাজশাহীর প্রাইমারি ট্রেনিং সেন্টারে দেশের পরিবর্তন পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ বিষয়ক কর্মশালায় অংশ নিতে এসে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পতিত সরকারের নেতাদের কেউ কেউ এখনো মনে করেন, তাদের বিচার করা সম্ভব নয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কিছু মামলার বিচারের রায় হয়ে গেলে, তাদের লাফালাফি ও দম্ভ বন্ধ হবে। তখন প্রতিশোধ স্পৃহা কমে আসবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। সমাজ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, শুধু একজন মানুষকে ক্ষমতায় চিরস্থায়ী করার জন্য, একটি পরিবারকে ক্ষমতায় রাখার জন্য বিচার ব্যবস্থা, আইন ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে পঙ্গু করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ আসামী হয়েছে
গ্রাউন্ডে যে পুলিশ গুলি করেছে সে তো কারো নির্দেশে গুলি করেছে। তাই তার আগে সেই প্রধানমন্ত্রীর বিচার করা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত জ ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
১০ ও ১১ মে সিটি ব্যাংকের সব সেবা বন্ধ থাকবে
ডেটা সেন্টার স্থানান্তরের কাজ সম্পন্ন করতে লেনদেনসহ সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম দুই দিন বন্ধ রাখবে সিটি ব্যাংক। আগামী ৯ মে রাত ১২টা থেকে ১১ মে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে ব্যাংকটিকে সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বুধ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এ–সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, ডেটা সেন্টার স্থানান্তর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য আগামী ৯ মে রাত ১২টা থেকে ১১ মে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে সিটি ব্যাংককে সম্মতি দেওয়া হলো।
১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করা সিটি ব্যাংকের গ্রাহক গত বছর শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখে। ২০০৭ সালে ব্যাংকটির গ্রাহক ছিল ৬৮ হাজার। ব্যাংকটির কর্মকর্তার সংখ্যা এখন ৫ হাজার ৩২১ জন। দেশের সবচেয়ে বেশি সাত লাখ ক্রেডিট কার্ড গ্রাহক রয়েছে সিটি ব্যাংকের। ব্যাংকটির ক্রেডিট কার্ডের ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। গত বছর শেষে ব্যাংকটির আমানত বেড়ে হয়েছে ৫১ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। আর ঋণ ছিল ৪৪ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। গত বছর শেষে হাজার কোটি টাকা মুনাফার মাইলফলক ছুঁয়েছে সিটি ব্যাংক। ব্যাংকটি গত বছর শেষে সমন্বিত মুনাফা করেছে ১ হাজার ১৪ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির সমন্বিত মুনাফার পরিমাণ ছিল ৬৩৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির মুনাফা ৩৭৬ কোটি টাকা বা ৫৯ শতাংশ বেড়েছে।