এক বছর পর উৎপাদনে ফিরছে যমুনা সার কারখানা
Published: 24th, February 2025 GMT
গ্যাস সংকটে বন্ধ হওয়ার ১৩ মাস পর সংযোগ পেয়ে উৎপাদনে ফিরেছে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানা। রোববার রাতে ইউরিয়া উৎপাদনে ফিরে কারখানাটি।
কারখানা সূত্রে জানা যায়, যমুনা সার কারখানা বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা নিয়ন্ত্রণাধীন এবং কেপিআই-১ মানসম্পন্ন সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই দৈনিক ১ হাজার ৭০০ টন ইউরিয়া উৎপাদন করে আসছিল কারখানাটি। কারখানার নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদনের জন্য দৈনিক ৪২-৪৩ পিএসআই গ্যাসের প্রয়োজন হয়। কিন্তু গ্যাসের চাপ স্বল্পতা ও বিভিন্ন ত্রুটির কারণে কারখানার উৎপাদন কমে বর্তমানে ১ হাজার ২০০ টন ইউরিয়া সার উৎপাদন করছে। গত বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে যমুনার গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেয় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। এরপর থেকেই যমুনায় ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
প্রায় ১৩ মাস পর ১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে গ্যাসের চাপ পুনরায় বৃদ্ধি করলে ইউরিয়া সার উৎপাদনে আনতে কার্যক্রম শুরু করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। তবে যন্ত্রাংশের কিছুটা মেরামত করে অ্যামোনিয়া ও ইউরিয়া পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে পারেনি। সকল কার্যক্রম শেষে ২৪ ফেব্রুয়ারি রোববার রাত থেকে ইউরিয়া উৎপাদন শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আ.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউর য়
এছাড়াও পড়ুন:
আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।
মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।
মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ