ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন প্রধান শিক্ষক
Published: 25th, February 2025 GMT
স্কুল থেকে ফেরার পথে থ্রি হুইলার মাহিন্দ্র গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাঙ্গারদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসমা বেগম (৪০) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো চারজন। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকেলে সালথা-ফরিদপুর আঞ্চলিক সড়কের ফরিদপুর সদরের কৈজুরী ইউনিয়নের চৌরঙ্গীর মোড় কুজুরদিয়া মাদ্রাসার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আসমা বেগম নগরকান্দার আজলপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল্লাহ আল আজাদের স্ত্রী। তাদের বাড়ি নগরকান্দা উপজেলার মধ্য জগদিয়া গ্রামে।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাঈনুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনের মতো সোমবার বিকেলে স্কুল থেকে মাহিন্দ্র গাড়িযোগে ফরিদপুর শহরের বাসায় ফিরছিলেন শিক্ষক আসমা বেগম। পথে চৌরঙ্গীর মোড় এলাকার তাকে বহনকারী মাহিন্দ্র গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে গুরুতর হন আসমা।
পরে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মাহিন্দ্রের আরো চার যাত্রী আহত হয়েছেন। তাদেরকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদউজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির প্রতি সমর্থন জানালেন গভর্নর ক্যাথি হোকৌ
নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকৌ গতকাল রোববার নিউইয়র্ক নগরের ডেমোক্রেটিকদলীয় মেয়রপ্রার্থী জোহরান মামদানিকে সমর্থন করেছেন। তাঁদের মধ্যে মতবিরোধ থাকা সত্ত্বেও হোকৌ তাঁকে ‘নিউইয়র্ক নগরকে সাশ্রয়ী করার বিষয়ে মনোযোগী একজন নেতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক লেখায় হোকৌ জোহরানের প্রতি এ সমর্থন জানান। ফলে গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী ৩৩ বছর বয়সী জোহরানের অবস্থান আরও শক্তিশালী হলো। তিনি রাজ্যের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাট ও ক্ষমতাধর ব্যক্তি। এই সমর্থন হাউস মাইনরিটি লিডার হেকিম জেফরিস, সিনেট মাইনরিটি লিডার চাক শুমারের মতো অন্য শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাটদের ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করেছে। তাঁরা এখনো জোহরানকে সমর্থন জানাননি। জেফরিস ও শুমার দুজনেই ব্রুকলিনের বাসিন্দা।
গভর্নর হোকৌর এ সমর্থন দুই মাসের বেশি সময় ধরে দুজনের মধ্যে বজায় রাখা সতর্ক দূরত্বের অবসান ঘটাল। গত জুনে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে (দলীয় বাছাইপর্বে) জোহরান সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে হারিয়ে সবাইকে চমকে দেন। হোকৌ প্রথমে জোহরানকে সমর্থন জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
হোকৌ লিখেছেন, ‘কয়েক মাস ধরে আমি তাঁর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেছি। আমাদের মধ্যে মতবিরোধ ছিল। কিন্তু আমাদের আলোচনায় আমি এমন একজন নেতাকে দেখেছি, যিনি আমার মতোই এমন একটি নিউইয়র্ক গড়তে চান, যেখানে শিশুরা তাদের এলাকায় নিরাপদে বেড়ে উঠতে পারবে এবং প্রতিটি পরিবারের জন্য সুযোগ হাতের নাগালে থাকবে। আমি এমন একজন নেতাকে দেখেছি, যিনি নিউইয়র্ক নগরকে সাশ্রয়ী করার দিকে মনোনিবেশ করেছেন। তাঁর এ লক্ষ্যকে আমি আন্তরিকভাবে সমর্থন করি।’
জোহরানের নির্বাচনী প্রচারের মূল ভিত্তি ছিল জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো এবং প্রগতিশীল বিভিন্ন এজেন্ডা, যেমন বিনা মূল্যে সিটি বাস, সরকারি গ্রোসারি এবং শহরের সবচেয়ে ধনী বাসিন্দাদের ওপর কর আরোপ।
জোহরান মামদানি