কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় পাহাড় থেকে দুজনকে অপহরণের খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা পাহাড় থেকে দুজনকে অপহরণ করা হয় বলে জানিয়েছেন বাহারছড়া ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম।
অপহৃত দুজন হলেন- জাহাজপুরা এলাকার আবছার আহমদের ছেলে আহমদ উল্লাহ (৪৮) ও আবদুস সালামের ছেলে জসিম উদ্দিন (১৮)।
ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, গরু নিয়ে পাহাড়ে যাওয়া দুজনকে মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা গভীর পাহাড়ের দিকে নিয়ে যেতে দেখেছেন স্থানীয়রা। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ফোন করা হয়নি। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।
বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক শুভরঞ্জন শাহ জানিয়েছেন, জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে অপহরণের খবর পাওয়ার পর পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মরিচক্ষেতে গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা
সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন্দ পয়েন্ট এলাকায় মরিচক্ষেতে একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জমির মালিক সাব্বির আহমদ গ্রেনেডটি দেখতে পেরে পুলিশকে জানান। পুলিশ সেনাবাহিনীকে জানালে শুক্রবার দুপুরে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সেটি নিষ্ক্রিয় করে।
স্থানীয়রা জানান, এলাকার সাব্বির আহমদের জমিতে একজন কৃষক কাজ করা অবস্থায় গ্রেনেডটি প্রথম দেখতে পান। পরে অন্যান্য স্থানীয় বাসিন্দাদের দেখালে তারা বুঝতে পারেন এটি গ্রেনেড জাতীয় কিছু এবং তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়। সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে গ্রেনেডটি পরীক্ষা করেন এবং নিশ্চিত হন যে এটি একটি সক্রিয় k36 অথবা M36 মডেলের গ্রেনেড। এরপর তারা নিরাপদ দূরত্বে গ্রেনেডটি নিয়ে যান এবং তা নিষ্ক্রিয় করেন।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি মো. মুখলেছুর রহমান বললেন, স্থানীয় কৃষক সাব্বির আহমদের মরিচ ক্ষেতে গ্রেনেডটি দেখে আমাদেরকে খবর দেন। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর অধিনায়ককে অবগত করি। তারা শুক্রবার এসে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেন।
শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. কর্নেল আল হোসাইন বলেন, এটি k36 অথবা M36 মডেলের একটি সক্রিয় গ্রেনেড। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই মডেলের গ্রেনেড ব্যবহৃত হতো। এটি এতোদিন মাটি ছাপা ছিলো এখানে অথবা অন্য জায়গা থেকে কেউ এনেছে। পুলিশ আমাদের জানানোর পর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সফলভাবে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।