দিনাজপুরে ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় আওয়ামী লীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার
Published: 26th, February 2025 GMT
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও পেট্রলবোমা হামলার মামলায় আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে বুলাকীপুর ইউনিয়ন থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আবদুর রহমান (৬৫) ও রফিকুল ইসলাম (৬০)। আবদুর রহমান উপজেলার সালিকাদহ গ্রামের মৃত নাসির উদ্দীনের ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগের লাকীপুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি। আর রফিকুল ইসলাম একই ইউনিয়নের উত্তর দেবীপুর গ্রামের মৃত জিয়ারত আলীর ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের একই সংগঠনের সাবেক সভাপতি।
গত বছর ২৪ আগস্ট ঘোড়াঘাট পৌর ছাত্রদলের সদস্য সহিদ শেখ বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, পৌর কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান, দুজন সাংবাদিকসহ ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করা হয়।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সমাবেশে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও পেট্রলবোমা হামলার অভিযোগে গত বছর ২৪ আগস্ট থানায় একটি মামলা হয়। এ মামলার তদন্তে সংশ্লিষ্টতা আসার পর গতকাল রাতে আবদুর রহমান ও রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে আসামিদের দিনাজপুর আদালতে পাঠানো হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর
গাজীপুর নগরের কাশিমপুর শ্মশান মন্দিরে আংশিক প্রস্তুত ছয়টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। তবে কারা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করেছে, তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কাশিমপুর শ্মশান মন্দিরে প্রতিবছরের মতো এবারও পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য তৈরি করা হচ্ছিল বিভিন্ন প্রতিমা। প্রতিমাগুলো তখনো পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি, রংও করা হয়নি। গতকাল দুপুরে বৃষ্টি শুরু হলে কারিগর ও মন্দিরসংলগ্ন লোকজন কাজ বন্ধ রেখে চলে যান। পরে সন্ধ্যায় মন্দিরে এসে তাঁরা দেখতে পান, পাঁচ থেকে ছয়টি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানায়, পূজা শুরু হয়নি বলে এখনো পাহারার ব্যবস্থা করা হয়নি। মন্দিরের আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরাও নেই। কারা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করেছে, তা তারা জানে না। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিমাগুলো আবার মেরামত করা হবে।
অগ্রগামী যুব সংঘ সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্ডপের সভাপতি প্রবীর দত্ত বলেন, ‘গতকাল পূজা মন্ডপের কাজ শেষে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। বিকেল বেলা কে বা কারা পূজামন্ডপে ঢুকে ৫-৬ টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে; অন্যগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্নের মধ্যে আছি।’
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, চুরি করতে এসে দুর্বৃত্তরা ভেতরে ঢুকে প্রতিমা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। প্রতিমাগুলোর কাজ এখনো শেষ হয়নি। সেগুলো মেরামতের কথা জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’