গতিশীল ও প্রাণবন্ত পুঁজিবাজার প্রতিষ্ঠায় সবার সহযোগিতা চায় বিএমবিএ
Published: 26th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) ২০তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) মঙ্গলবার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএমবিএ-এর সভাপতি মাজেদা খাতুন। এছাড়া, প্রথম সহ-সভাপতি মোঃ রিয়াদ মতিন; মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান এফসিএস, দ্বিতীয় সহ-সভাপতি; সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম এফসিএমএ; কোষাধ্যক্ষ ইফতেখার আলমসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা ও সাধারণ সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভাটি পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। সভায় ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সমাপ্ত বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন ও নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরনী উপস্থিত সদস্যদের কাছে উপস্থাপন করা হয়। কোষাধ্যক্ষ জনাব ইফতেখার আলম আর্থিক বিবরনীর উপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন এবং আলোচনা শেষে আর্থিক বিবরনীর উপর সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। পরবর্তীতে উপস্থাপিত বার্ষিক প্রতিবেদন ও নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরনী সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত ও অনুমোদিত হয়।
বিএমবিএ-এর সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম ২০২৪ সালের কার্যক্রম ও অর্জনের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন। পাশাপাশি, অ্যাসোসিয়েশনের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয় এবং সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়। সভায় পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সদস্যরা মতামত প্রদান করেন।
সভাপতি মাজেদা খাতুন বলেন, বিএমবিএ পুঁজিবাজারের স্বার্থ ও সুরক্ষার জন্য সমস্ত স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অংশীদারত্বের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। সভা শেষে বিএমবিএ নেতৃবৃন্দ একটি গতিশীল ও প্রাণবন্ত পুঁজিবাজার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সকল সদস্য ও স্টেকহোল্ডারদের সহযোগিতার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
এসকেএস
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ব এমব এ সদস য উপস থ
এছাড়াও পড়ুন:
সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে
সুদ পরিশোধে সরকারের ব্যয় বাড়ছে। এ ব্যয় বহন করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাজেটে সরকারের সুদ পরিশোধ সংক্রান্ত পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, আগামী বছরগুলোতে সুদ ব্যয় ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে।
পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ১৫ ভাগ অর্থই সুদ খাতে খরচ করতে হচ্ছে এখন। এ পরিস্থিতিতে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতেই ব্যয় করতে হবে চার লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। পাঁচ অর্থবছরের ব্যবধানে সুদ ব্যয় বাড়ছে ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে শতাংশের হিসাবে বৈদেশিক ঋণের সুদ ব্যয় সবচেয়ে বেশি বাড়বে।
অর্থ বিভাগের করা ‘মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি-২০২৫-২০২৬ থেকে ২০২৭-২০২৮’ এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হয়েছিল এক লাখ ১৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ খাতে সুদ ব্যয় ছিল ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় গেছে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে (যা চলতি জুনের ৩০ তারিখে শেষ হয়ে যাবে) মূল বাজেটে সুদ খাতে ব্যয় বরাদ্দ ছিল এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বছর শেষে এই সীমায় সুদ ব্যয় ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ফলে সংশোধিত বাজেটে এ খাতে ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয়েছে এক লাখ ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ হিসাবের মধ্যে ছিল অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ব্যয় ৯৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং বিদেশী ঋণের ২২ হাজার কোটি টাকা।
একইভাবে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়েরও একটি প্রক্ষেপণ করেছে অর্থ বিভাগ। এই হিসেবে দেখা যায় আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হবে এক লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা (অভ্যন্তরীণ এক লাখ কোটি টাকা , বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় ২২ হাজার কোটি টাকা)। একইভাবে এর পরের অর্থবছর ২০২৬-২০২৭ অর্থবছরে একলাখ ৩৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা(অভ্যন্তরীণ এক লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের ২৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা) এবং ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়ের প্রক্ষেপণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, মোট সুদ ব্যয়ের সিংহভাগই অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে এক লাখ ২৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা গিয়ে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু মোট বাজেটের অনুপাতে অভ্যন্তরীণ সুদ পরিশোধের হার ২০২৩ -২০২৪ অর্থবছরে ১৬ দশমিক ২৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশে হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ মোট সুদ ব্যয়ের তুলনায় কম, তবে এটি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ফলে এটি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ২৭ হাজার ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত হতে পারে। মোট বাজেটের অনুপাতে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ এ সময়কালে ২ দশমিক ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।
বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধের কার্যকর ব্যবস্থাপনা শুধু আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই নয়, বরং এটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রক্ষা, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা, আন্তর্জাতিক ঋণমান বজায় রাখা এবং ভবিষ্যতের উন্নয়ন সম্ভাবনা সুরক্ষিত রাখার জন্য অপরিহার্য।