মার্চে ঢাকা আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব
Published: 27th, February 2025 GMT
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ১৩ মার্চ চার দিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে তিনি এ সফর করবেন।
গতকাল বুধবার নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানিয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের কার্যালয়ও জানিয়েছে, গুতেরেস ১৩ থেকে ১৬ মার্চ বাংলাদেশে সরকারি সফর করবেন।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাতে সরকারের রোহিঙ্গা ইস্যু ও অগ্রাধিকারবিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ড.
এদিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে পাঠানো চিঠিতে গুতেরেস বলেছেন, ‘জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন নিশ্চিতে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও সক্রিয় করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবর্তনে উপযোগী পরিবেশ তৈরিসহ মিয়ানমার সংকটের একটি রাজনৈতিক সমাধানে আঞ্চলিক অংশীদার, আসিয়ান ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে বিশেষ দূতের মাধ্যমে আমি ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব।’
তিনি আশ্বস্ত করেন, জাতিসংঘ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের মধ্যে জরুরি ত্রাণ সমন্বয়, মিয়ানমারের আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়কারীর মাধ্যমে রাখাইনসহ পুরো মিয়ানমারে নিরাপদ, দ্রুত, টেকসই ও বাধাহীন মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর চেষ্টা করবে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন আয়োজনে বিশ্বব্যাপী নতুন করে মনোযোগ আকর্ষণ এবং রোহিঙ্গা ও অন্য সংখ্যালঘুদের জন্য আরও বিস্তৃত সমাধান বের করতে সাহায্য করবে।
রোহিঙ্গা সংকটের কারণে বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের ওপর প্রভাব, রাখাইনে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট নিয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার উদ্বেগের সঙ্গে একমত পোষণ করেন গুতেরেস। একই সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নেতৃত্বে চলমান পরিবর্তন প্রক্রিয়াকে জাতিসংঘ সমর্থন দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ ফিউশন খাবার উপস্থাপনা
মানজু রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক ব্যতিক্রমধর্মী খাবার আয়োজন, যেখানে দেশি স্বাদের সাথে ছিল আন্তর্জাতিক রান্নার কৌশল ও উপকরণ। আয়োজনে ঐতিহ্য ও আধুনিকতা একসূত্রে গাঁথা হয়েছে।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, এ আয়োজনের মূল আকর্ষণ ছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রন্ধনশিল্পী ইনারা জামাল, যিনি ফুড স্টাডিজে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর এবং ইনস্টিটিউট অব কালিনারি এডুকেশন, নিউইয়র্ক থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
ইনারা জামাল বলেন, ‘খাবার শুধু স্বাদের বিষয় নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ। আমি চাই বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারকে ভিন্ন দেশের উপকরণ ও কৌশলের সঙ্গে মিশিয়ে বিশ্বদরবারে নতুন রূপে উপস্থাপন করতে। সৃজনশীল উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশি খাবারকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। একইসঙ্গে, তার লক্ষ্য বাংলাদেশের খাদ্যসংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে গবেষণার আলোয় তুলে ধরা, যেন এই সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষিত থাকে। খাবারে তিনি সবসময় প্রাধান্য দেন প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান এবং টেকসই উপস্থাপনাকে।
এই আয়োজনকে আরও রঙিন করে তোলে রন্ধনশিল্পী মালিহার বাহারি পরিবেশনা, যেখানে দেশি উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করা হয় নানান স্বাদের সুস্বাদু খাবার।
আয়োজকরা জানান, এই আয়োজনের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশি খাদ্যসংস্কৃতিকে আধুনিক উপস্থাপনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা এবং ভোজনরসিকদের সামনে এক নতুন স্বাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা খাবারের স্বাদ, গন্ধ ও পরিবেশনায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা রক্ষার ওপর জোর দেন।