নির্বাচন ভবনে প্রবেশে মানতে হবে ৮ নির্দেশনা
Published: 27th, February 2025 GMT
নির্বাচন ভবনে অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির প্রবেশ ঠেকাতে আট নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ইসির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও উপসচিব সহিদ আব্দুস ছালাম স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করা হয়।  
আদেশে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন ভবনের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা, কর্ম উপযোগী পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য অপ্রয়োজনীয় যাতায়াত ও অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির প্রবেশ সীমিত করার জন্য ইসি সচিবালয়ের প্রবেশপথের বহির্বেষ্টনী এবং অভ্যন্তরে যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
নির্দেশনাগুলো হলো—
আরো পড়ুন:
‘শান্তর জায়গায় ধোনি বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিলেও লাভ হবে না’
সাবেকরা বলছেন, বাটলারকে আর দরকার নেই!
১) নির্বাচন ভবনে প্রবেশ ও অবস্থানকালে অফিশিয়াল প্রবেশপত্র/পরিচয়পত্র ব্যবহার করতে হবে এবং তা ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
২) কার্ডধারী কর্মকর্তা/কর্মচারী ইসি সচিবালয়, নির্বাচন ভবনে প্রবেশের আগে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করবেন এবং সঙ্গে বহন করা ব্যাগ/বস্তু স্ক্যানারের মাধ্যমে স্ক্যান নিশ্চিত করবেন।
৩) কার্ডধারী কর্মকর্তা/কর্মচারীরা ভবনে প্রবেশ ও প্রস্থানকালে ফ্ল্যাপ ব্যারিয়ার ট্রান্সটাইল এন্টারেন্স অ্যাকসেস কন্ট্রোল ব্যবহার করে সুনির্দিষ্ট গেটের মাধ্যমে ডিজিটাল হাজিরা নিশ্চিত করবেন।
৪) দর্শনার্থী/সেবাপ্রত্যাশীরা তথ্য রেজিস্টার/কম্পিউটারে লিপিবদ্ধ করে ভিজিটর কার্ড নিয়ে দর্শনীয়ভাবে তা গলায় ঝুলিয়ে ফ্ল্যাপ ব্যারিয়ার ট্রান্সটাইল এন্টারেন্স অ্যাকসেস কন্ট্রোল গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন।
৫) দর্শনার্থী/সেবাপ্রত্যাশীরা ভবনের যে তলায় প্রবেশাধিকার পাবেন, তিনি শুধু সেখানে যাবেন এবং প্রয়োজনীয় সময় পর্যন্ত অবস্থান করবেন। নির্বাচন ভবন ত্যাগ করার আগে ভিজিটর কার্ড ফেরত দেবেন।
৬) কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারী অফিস চলাকালে বিশেষ প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া নির্বাচন ভবনের বাইরে যাবেন না।
৭) অফিস ত্যাগের আগে সবাই আবশ্যিকভাবে স্ব-স্ব অনুবিভাগ/অধিশাখা/শাখার নথিপত্র নিরাপদে সংরক্ষণ করার পাশাপাশি কম্পিউটারসামগ্রী, এসি, বৈদ্যুতিক ফ্যান, মাল্টিপ্লাগ, লাইট, দরজা-জানালা ইত্যাদি বন্ধ করে অফিস ত্যাগ করবেন।
৮) দাপ্তরিক প্রয়োজন ছাড়া কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারী ভবন বা স্বীয় দপ্তরে অতিরিক্ত সময় অবস্থান করবেন না।
ঢাকা/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত করব ন
এছাড়াও পড়ুন:
ফোনে খালেদা জিয়া বললেন, ‘ভাই, জিয়াকে ড্রয়িংরুমে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’
৭৫-এর উত্তপ্ত নভেম্বর
শেখ মুজিব হত্যার পর বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ছিল দ্বিধাগ্রস্ত এবং দেশ প্রতিদিন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এদিকে খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা সর্বজনাব নজরুল ইসলাম তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও আবদুস সামাদ আজাদকে আটক করেন এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করে রাখেন। বাতাসে প্রতিনিয়ত নানা গুজব উড়ছিল ও সাধারণ নাগরিকগণ ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। সেনানিবাসেও অস্থিরতা বিরাজ করছিল এবং ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে, নিজেদের মধ্যে যে-কোনো সময়ে সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আর্মিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি ছিল।
পদাতিক বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে ঢাকা ব্রিগেডের ১ম, ২য় ও ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসারগণ মেজর ফারুক, রশিদ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছিল এবং আর্মির চেইন অফ কমান্ড পুনঃস্থাপনের জন্য তৎকালীন ব্রিগেড অধিনায়ক কর্নেল শাফায়াত জামিলও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তাঁর অধীনস্থ অফিসার ও সৈন্যগণই তাঁর সার্বিক কর্তৃত্ব উপেক্ষা করে শেখ মুজিব হত্যায় জড়িত ছিল। এ পরিস্থিতিতে সেনাসদরে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফও সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা বলে উত্তেজিত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।
মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.) বীরবিক্রম