হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ৯ ছাত্র-জনতা হত্যার মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মো. আব্দুল মজিদ খানের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল আলীম এ আদেশ দেন।

নাইন মার্ডার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

গোলাম মোস্তফা গত সপ্তাহে আদালতে তার পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তার উপস্থিতিতে শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে তাকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। সন্ধ্যায় এসব তথ্য দেন ওসি মো. গোলাম মোস্তফা।

এর আগে ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ৫ আগস্ট জেলার বানিয়াচং থানার সামনে ৯ জনকে গুলি করে হত্যা করা হলে মামলা হয়। 

এ মামলায় ১০ ফেব্রুয়ারি আব্দুল মজিদ খানকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে তাকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে এনে ১৮ ফেব্রুয়ারি আরও একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

আব্দুল মজিদ খান হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলার বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ আসনে তিনবারের সাবেক এমপি।

ঢাকা/মামুন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফোনে খালেদা জিয়া বললেন, ‘ভাই, জিয়াকে ড্রয়িংরুমে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’

৭৫-এর উত্তপ্ত নভেম্বর

শেখ মুজিব হত্যার পর বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ছিল দ্বিধাগ্রস্ত এবং দেশ প্রতিদিন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এদিকে খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা সর্বজনাব নজরুল ইসলাম তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও আবদুস সামাদ আজাদকে আটক করেন এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করে রাখেন। বাতাসে প্রতিনিয়ত নানা গুজব উড়ছিল ও সাধারণ নাগরিকগণ ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। সেনানিবাসেও অস্থিরতা বিরাজ করছিল এবং ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে, নিজেদের মধ্যে যে-কোনো সময়ে সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আর্মিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি ছিল।

পদাতিক বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে ঢাকা ব্রিগেডের ১ম, ২য় ও ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসারগণ মেজর ফারুক, রশিদ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছিল এবং আর্মির চেইন অফ কমান্ড পুনঃস্থাপনের জন্য তৎকালীন ব্রিগেড অধিনায়ক কর্নেল শাফায়াত জামিলও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তাঁর অধীনস্থ অফিসার ও সৈন্যগণই তাঁর সার্বিক কর্তৃত্ব উপেক্ষা করে শেখ মুজিব হত্যায় জড়িত ছিল। এ পরিস্থিতিতে সেনাসদরে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফও সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা বলে উত্তেজিত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।

মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.) বীরবিক্রম

সম্পর্কিত নিবন্ধ