জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন নতুন দলের পক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়দের মধ্যে আব্দুল হান্নান মাসুদ, নুসরাত তাবাসসুম ও সাইফ মোস্তাফিজ।

প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের পাশাপাশি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ অভ্যুত্থানে যুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোকেও আমন্ত্রণ জানাবে নতুন দলটি।

আগামীকাল শুক্রবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জাতীয় নাগরিক পার্টি নামে নতুন এ রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করবে, যা গঠনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন গণঅভ্যুত্থানের তরুণ নেতারা।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে নতুন এ দল গঠন করা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানানোর পর যমুনার বাইরে এসে হান্নান মাসুদ সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের দাওয়াত গ্রহণ করেছেন এবং শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সব রাজনৈতিক দল মিলেমিশেই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে। সবাই একসাথে যেন দেশের জন্য কাজ করতে পারে তিনি সেই পরিবেশ উপহার দেবেন।

সব রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ করার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা আজকে দুপুরের পর থেকেই দাওয়াতের প্রক্রিয়া শুরু করেছি এবং এটা মাত্র তিন দিনের প্রস্তুতিতে আমরা শুরু করেছি। আমাদের প্রস্তুতির কিছুটা অভাব রয়েছে, যার কারণে আমরা সবাইকে নিয়ে সব জায়গায় যেতে পারছি না। কাউকে মেইলের মাধ্যমে, কাউকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কাউকে সরাসরি গিয়ে আমরা দাওয়াত করছি।

বিএনপির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের কাছে চিঠি পৌঁছানোর পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন ও গণতন্ত্র মঞ্চ এসব দলকে সরাসরি চিঠি পৌঁছানোর চেষ্টা করার কথা বলেন তিনি। বলেন, আমাদের বিভিন্ন টিম বিভিন্ন জায়গায় দাওয়াত নিয়ে কাজ করছে।

গণ আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সদস্য ও আহতদেরও অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের সব শ্রেণিপেশার মানুষের উপস্থিতি চাচ্ছি। আমরা যেহেতু জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী জনআকাঙ্খাকে ধারণ করে একটি পলিটিক্যাল পার্টি করতে চাচ্ছি, সেই জায়গা থেকে আমরা শহীদ পরিবারকে দাওয়াত করেছি, আহতদেরকে দাওয়াত করেছি।

একই সঙ্গে সুশীল সমাজ, বিদেশি বন্ধু ও কূটনীতিকদের নিমন্ত্রণ করার কথা বলেন হান্নান মাসুদ।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী

বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।

প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’

ঐশ্বরিয়া ও সালমান খান

সম্পর্কিত নিবন্ধ