ক্ষমতায় কে যাবে, তা ভারত নয় নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ: হাসনাত
Published: 28th, February 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, “বাংলাদেশের গণভবনে কে যাবে, তা ভারত থেকে ঠিক হবে না। নির্ধারিত হবে বাংলাদেশ থেকে। কারা সংসদে যাবেন, তা ঠিক করবে বাংলাদেশের খেটে খাওয়া জনতা। মসনদে কে বসবে, এই ভূখণ্ডের মানুষ তা নির্ধারণ করবে।”
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরে বিভাজনের রাজনীতি জিইয়ে রাখা হয়েছে। বিভাজনের এই রাজনীতির ঊর্ধ্বে ওঠে আমরা একতার রাজনীতি করব। বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে গঠন করব।”
আরো পড়ুন:
জাতীয় নাগরিক পার্টিকে স্বাগত জানাল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
নতুন দলের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ খোলা থাকবে: জামায়াত
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে গত ৫৩ বছরে আমরা জাতি হিসেবে গড়ে ওঠতে পারিনি। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে গিয়েছে। আমরা স্বাধীন পুলিশ, বিচার বিভাগ গড়তে পারিনি। একটি স্টেট গড়তে পারিনি। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকভাবে চলেনি। আমরা তরুণরা এই বাংলাদেশকে গঠন করব। প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রপারলি ফাংশন করব।”
তিনি আরো বলেন, “বিদেশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে। কিন্তু কোনো প্রেসক্রিপশনের সম্পর্ক থাকবে না। আমাদের ছেলেরা যখন রক্ত দেওয়া শিখে গিয়েছে, তখন তাদের কেউ দমাতে পারবে না।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, “প্রবীণদের অভিজ্ঞতা ও তরুণদের তেজদীপ্ততা নিয়ে আমরা পরবর্তী বাংলাদেশ গড়ে তুলব। এ দেশে পরিবারতন্ত্রের কবর হয়েছে। এ দেশে যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব ওঠে আসবে। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই যেখানে মত ও দ্বিমতের স্বাধীনতা থাকবে।”
ঢাকা/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় ন গর ক প র ট আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’
ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।
আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।
আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।
রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।
রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।
কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?
কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।
রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।
রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।
এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।
রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।