বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‍“বাংলাদেশের গণভবনে কে যাবে, তা ভারত থেকে ঠিক হবে না। নির্ধারিত হবে বাংলাদেশ থেকে। কারা সংসদে যাবেন, তা ঠিক করবে বাংলাদেশের খেটে খাওয়া জনতা। মসনদে কে বসবে, এই ভূখণ্ডের মানুষ তা নির্ধারণ করবে।”

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরে বিভাজনের রাজনীতি জিইয়ে রাখা হয়েছে। বিভাজনের এই রাজনীতির ঊর্ধ্বে ওঠে আমরা একতার রাজনীতি করব। বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে গঠন করব।”

আরো পড়ুন:

জাতীয় নাগরিক পার্টিকে স্বাগত জানাল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

নতুন দলের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ খোলা থাকবে: জামায়াত

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে গত ৫৩ বছরে আমরা জাতি হিসেবে গড়ে ওঠতে পারিনি। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে গিয়েছে। আমরা স্বাধীন পুলিশ, বিচার বিভাগ গড়তে পারিনি। একটি স্টেট গড়তে পারিনি। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকভাবে চলেনি। আমরা তরুণরা এই বাংলাদেশকে গঠন করব। প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রপারলি ফাংশন করব।”

তিনি আরো বলেন, “বিদেশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে। কিন্তু কোনো প্রেসক্রিপশনের সম্পর্ক থাকবে না। আমাদের ছেলেরা যখন রক্ত দেওয়া শিখে গিয়েছে, তখন তাদের কেউ দমাতে পারবে না।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, “প্রবীণদের অভিজ্ঞতা ও তরুণদের তেজদীপ্ততা নিয়ে আমরা পরবর্তী বাংলাদেশ গড়ে তুলব। এ দেশে পরিবারতন্ত্রের কবর হয়েছে। এ দেশে যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব ওঠে আসবে। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই যেখানে মত ও দ্বিমতের স্বাধীনতা থাকবে।”

ঢাকা/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় ন গর ক প র ট আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

খামেনিকে হত্যায় সংঘাত বাড়বে না, বরং অবসান ঘটাবে: নেতানিয়াহু

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার আশঙ্কার বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানি শীর্ষ নেতার হত্যায় ‘সংঘাত বাড়বে না, বরং অবসান ঘটাবে’।

তিনি বলেন, ‘ইরানি নেতার হত্যার সম্ভাব্য পরিকল্পনা ইরান ও ইসরায়েল মধ্যকার চলমান সংঘাতকে ‘আরও বাড়িয়ে তুলবে না, বরং সংঘাতের অবসান ঘটাবে’। 

এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহুকে প্রশ্ন করা হয়, খামেনিকে হত্যার লক্ষ্যবস্তু করার চিন্তা আছে কিনা। প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরান দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। ইরান ‘চিরস্থায়ী যুদ্ধ’ চায় এবং ইসরায়েলে পরমাণু যুদ্ধের কিনারায় নিয়ে এসেছে। 

তিনি বলেন, ইসরায়েল এই আগ্রাসন ঠেকাচ্ছে। এটা ঠেকাতে হলে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই হবে। আমরা যা প্রয়োজন, তাই করছি। 

ইরানের সঙ্গে সংঘর্ষে ইসরায়েল বিজয় অর্জন করতে যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সোমবার ইসরায়েলি বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিজয় অর্জনের পথে। এর আগে, তেহরানের আকাশ ‘পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অর্জন’ করার দাবি করেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী কর্মকর্তারা। সেইসঙ্গে, ইরানের মিসাইল লঞ্চার বা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ যন্ত্রের ‘এক-তৃতীয়াংশ ধ্বংস'’করে দেওয়ারও দাবি করেন তারা।

সেই দাবিই পুনর্ব্যক্ত করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের দু'টি লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। পারমাণবিক হুমকি নির্মূল এবং ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি নির্মূল করা।

ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদেরকে ইরান হামলার লক্ষ্যবস্তুে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেন নেতানিয়াহু। বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনের সময় সেখানে উপস্থিত সেনাদের উদ্দেশে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের ধন্যবাদ। সৃষ্টিকর্তার সাহায্যে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো এবং সফল হব। বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত আমরা (যুদ্ধ) চালিয়ে যাব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ