সোনারগাঁ বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ
Published: 28th, February 2025 GMT
সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেনকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে জেলা বিএনপি থেকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ইস্যুকৃত নোটিশে তাকে তিন দিনের মধ্যে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য বলা হয়েছে।
জেলা বিএনপির নবগঠিত আহবায়ক কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দীপু এবং যুগ্ম-আহবায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়েছে, ২২ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চিত্র নায়িকা দিতির কন্যা লামিয়া এবং সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সে সম্পর্কে তাকে ব্যাখ্যা দিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২২ ফেব্রুয়ারী সোনারগাঁ পৌরসভার দিয়াপাড়া এলাকায় চিত্র নায়িকা দিতির বাড়িতে প্রায় শতাধিক লোক নিয়ে মোশারফ হোসেন বিচার শালিসির নামে লামিয়ার উপর হামলা চালিয়ে তাকে শারীরিকভাবে আহত করেন। এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় খবরটি ছড়িয়ে পড়ে।
কারন দর্শানোর নোটিশের বিষয়ে মোশারফ হোসেন বলেন, জেলা কমিটি আমাকে ঘটনাটি জানার জন্য প্রশ্ন করেছে, আমি সংবাদ সম্মেলন করে তাদের সব তথ্য জানিয়েছি।
জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ জানান, কারন দর্শানোর নোটিশের জবাব আমরা পেয়ে সাক্ষাৎকার নিচ্ছি। তদন্ত শেষে প্রতিবেদনের কপি কয়েক দিনের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হবে।
  
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ব এনপ ন র য়ণগঞ জ দর শ ন র ন ট শ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
ফোনে খালেদা জিয়া বললেন, ‘ভাই, জিয়াকে ড্রয়িংরুমে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’
৭৫-এর উত্তপ্ত নভেম্বর
শেখ মুজিব হত্যার পর বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ছিল দ্বিধাগ্রস্ত এবং দেশ প্রতিদিন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এদিকে খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা সর্বজনাব নজরুল ইসলাম তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও আবদুস সামাদ আজাদকে আটক করেন এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করে রাখেন। বাতাসে প্রতিনিয়ত নানা গুজব উড়ছিল ও সাধারণ নাগরিকগণ ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। সেনানিবাসেও অস্থিরতা বিরাজ করছিল এবং ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে, নিজেদের মধ্যে যে-কোনো সময়ে সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আর্মিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি ছিল।
পদাতিক বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে ঢাকা ব্রিগেডের ১ম, ২য় ও ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসারগণ মেজর ফারুক, রশিদ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছিল এবং আর্মির চেইন অফ কমান্ড পুনঃস্থাপনের জন্য তৎকালীন ব্রিগেড অধিনায়ক কর্নেল শাফায়াত জামিলও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তাঁর অধীনস্থ অফিসার ও সৈন্যগণই তাঁর সার্বিক কর্তৃত্ব উপেক্ষা করে শেখ মুজিব হত্যায় জড়িত ছিল। এ পরিস্থিতিতে সেনাসদরে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফও সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা বলে উত্তেজিত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।
মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.) বীরবিক্রম