নব্বইয়ের দশকে হলিউডের সবচেয়ে আবেদনময়ী তারকাদের একজন ছিলেন ডেমি মুর। সেই কবে করেছিলেন ‘স্ট্রিপটিজ’, এত বছর পরও সেই সিনেমার পোস্টারে তাঁর পোজ নিয়ে আলোচনা হয়। ‘গোস্ট’, ‘ইনডিসেন্ট প্রপোজাল’, ‘ডিসক্লোজার’ও করেছেন ডেমি। ১৯৯৫ সালে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী। শুনলে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে কিন্তু সাড়ে চার দশকের ক্যারিয়ারে উল্লেখযোগ্য কোনো পুরস্কারই জেতেননি ডেমি। চলতি বছর গোল্ডেন গ্লোবে সেই আক্ষেপ দূর হয়েছে, এবার অস্কারের অপেক্ষায় আছেন ডেমি।

‘আমি আশাই করিনি এটা বড় একটা ধাক্কা। ৪৫ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছি, সেভাবে পুরস্কার পাইনি। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা,’ গোল্ডেন গ্লোবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জয়ের পর এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন ডেমি মুর। এরপর তো অস্কারে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়নও পেয়েছেন ৬২ বছর বয়সী অভিনেত্রী।

‘দ্য সাবস্ট্যান্স’ দিয়ে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেয়েছেন ডেমি মুর।এএফপি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ