প্রকৌশল ও প্রযুক্তিতে চাকরির বাজারে পিছিয়ে নারীরা
Published: 1st, March 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিস্টিকসের (বিএলএস) তথ্য অনুযায়ী আগামী দশকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত (এসটিইএম) বিষয়ে কর্মসংস্থান অন্যান্য পেশার তুলনায় ২০২৯ সালের মধ্যে 8 শতাংশ বাড়বে। তবে বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ঘটলেও এসব বিষয়ভিত্তিক পেশায় নারীর প্রবেশগম্যতা পুরুষের তুলনায় অনেক কম। বাংলাদেশে এসটিইএমের ক্ষেত্রে নারীর প্রতিনিধিত্ব মাত্র ১৪ শতাংশ। এটি জেন্ডার বৈষম্যের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রের বৈষম্যকেও বিশেষভাবে নির্দেশ করে, যা এসডিজি অর্জন ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বড় প্রতিবন্ধকতা।
সম্প্রতি চট্টগ্রামের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত ‘রোল মডেল টক অ্যান্ড প্যানেল ডিসকাশন’ শিরোনামে অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনের কাছ থেকে এমন অভিমত উঠে আসে। শি-এসটিইএম কনসোর্টিয়ামের আওতায় পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক বিজনেস কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠান লাইটক্যাসল পার্টনার্স, এটুআই, টেন মিনিটস স্কুল, যুক্তরাজ্যভিত্তিক কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠান ডেভ লার্ন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আলোচনায় নারীর এসটিইএমের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া নিয়ে প্রধানত চারটি চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরা হয়। এগুলো হচ্ছে– সর্বশেষ পাঠ্যক্রম না থাকা, মানসম্মত গবেষণা না থাকা, শিল্প খাতের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম সংযোগ এবং ছেলেমেয়ে বৈষম্যগত সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন যুব, শিক্ষা ও কর্মবিষয়ক দূত জুরিয়ান মিডলহফ, বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন থিস ওদস্ট্রা, লাইটক্যাসল পাটনার্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিজন ইসলাম, ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান, ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভারত, পাকিস্তানের তুলনায় কর্মক্ষেত্রে বাংলোদেশে নারীরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। তবে এসটিইএমের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে নারীর উপস্থিতি এখনও অস্বাভাবিকভাবে কম। এসটিইএমের প্রতি আগ্রহ রয়েছে এমন প্রায় অর্ধেক মেয়েই এ পেশায় কাজ করতে আগ্রহী হন না। অর্থাৎ তারা একসময় বিজ্ঞানী হিসেবে গড়ে উঠতে পারেন– এমনটা ভাবেন না। ফলে এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য রোল মডেলের ঘাটতি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, শি-এসটিইএম হলাে একটি বহু বছরের কনসোর্টিয়াম চালিত কর্মসূচি। এর লক্ষ্য নারীর বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিংভিত্তিক চাকরির সুযোগ তৈরি করা এবং দক্ষভাবে গড়ে তোলা। পাশাপাশি এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের বিশেষ দক্ষতা ও কর্মক্ষেত্র প্রসারে অ্যাডভোকেসি করে থাকে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন চালু
তেহরানের বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে।
রোববার তেহরান দূতাবাস এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইরানে বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিকের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য দূতাবাস ইমার্জেন্সি হটলাইন স্থাপন করেছে। ইরানে বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিকদের নিম্নোক্ত মোবাইলফোন নম্বরগুলোতে হোয়াটসঅ্যাপসহ সরাসরি যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
+ ৯৮৯৯০৮৫৭৭৩৬৮ ও +৯৮৯১২২০৬৫৭৪৫।