ভারতের হিমালয় রাজ্য উত্তরাখণ্ডে তুষারধসে অন্তত চারজন মারা গেছে। এছাড়া আরও কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে। উত্তরাখণ্ড রাজ্য সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

ভারতীয় সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার তিব্বত সীমান্তবর্তী মানা গ্রামে তুষারধসে ভেসে যান সড়ক নির্মাণ শ্রমিকরা। সেখান থেকে ৫০ জনকে উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে কমপক্ষে পাঁচজন। হেলিকপ্টারে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েক ফুট উচ্চতার তুষারের মধ্যে ভেসে যাওয়া আহত কয়েকজনকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।  

তুষারধসের সময় সড়ক নির্মাণ কর্মীরা একটি ক্যাম্পে ছিলেন জানিয়ে মানার সাবেক গ্রাম কাউন্সিল সদস্য গৌরব কুনওয়ার জানিয়েছেন, ওই স্থানটি যাযাবরদের এলাকা। সেখানে স্থায়ীভাবে কেউ বসবাস করে না। সীমান্তের সড়কে কাজ করা শ্রমিকরা শীতকালে সেখানে থাকে, কিছু সেনা সদস্যও মোতায়েন রয়েছে সেখানে। 

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেন, বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের একটি ক্যাম্পে তুষারধসের পর উদ্ধারকারী দল ‌উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।

এদিকে সেখানে ভারি বৃষ্টিপাত ও তুষারপাতের বিষয়ে আগেই সতর্ক করেছিল ভারতের আবহাওয়া বিভাগ। হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মিরের বেশ কয়েকটি জেলায় তুষারপাতের জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ