ইতিহাস নির্মাণকারীরা রাজনীতির ঊর্ধ্বে: ঢাবি উপাচার্য
Published: 2nd, March 2025 GMT
যারা ইতিহাস নির্মাণ করে তারা ঊর্ধ্বে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান।  
রবিবার (২ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় ১৯৭১ সালের ২ মার্চ আ স ম আব্দুর রবের জাতীয় পতাকা উত্তোলন, স্বাধীন সংগ্রামে অবদান এবং পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার ভূমিকা ইঙ্গিত করে তিনি এসব কথা বলেন।
‘পতাকা উত্তোলন দিবস’ উপলক্ষে ঢাবি প্রশাসনের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন ২ মার্চ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা সংগ্রামী ব্যক্তিত্ব আ স ম আব্দুর রব। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি বলে জানা গেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাবি উপাচার্য বলেন, “ইতিহাস যারা নির্মাণ করেন, তারা রাজনীতির ঊর্ধ্বে। আমরা আ স ম আব্দুর রবকে ব্যক্তিগত পরিচয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। শারীরিক দুর্বলতার কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। ঐতিহাসিক এ দিবস উদযাপনে আমন্ত্রিত হয়ে তিনি আনন্দ প্রকাশ করেছেন।”
ঢাবি উপাচার্য আরো বলেন, “পতাকা উত্তোলন দিবসের আয়োজনটি অল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হয়েছে। আমরা চেষ্টা করব এ ধরনের আয়োজন নিয়মিত করে যেতে। এ জাতীয় আয়োজন বর্তমান পরিস্থিতিতে তাৎপর্য বহন করে। দেশ নানামুখী প্রতিকূলতা ও ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ঐক্য ধরে রাখা অত্যন্ত জরুরি।”
তিনি বলেন, “আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে গর্বিত উত্তরাধিকার বহন করছি, যা আমাদের সাহস দেয়। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পুরো জাতীকেই সাহস দেয়। ঐক্য ধরে রাখতে এ উদ্যোগগুলো আরো আন্তরিকতার সঙ্গে আয়োজন করা জরুরি।”
উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড.                
      
				
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফোনে খালেদা জিয়া বললেন, ‘ভাই, জিয়াকে ড্রয়িংরুমে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’
৭৫-এর উত্তপ্ত নভেম্বর
শেখ মুজিব হত্যার পর বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ছিল দ্বিধাগ্রস্ত এবং দেশ প্রতিদিন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এদিকে খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা সর্বজনাব নজরুল ইসলাম তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও আবদুস সামাদ আজাদকে আটক করেন এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করে রাখেন। বাতাসে প্রতিনিয়ত নানা গুজব উড়ছিল ও সাধারণ নাগরিকগণ ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। সেনানিবাসেও অস্থিরতা বিরাজ করছিল এবং ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে, নিজেদের মধ্যে যে-কোনো সময়ে সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আর্মিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি ছিল।
পদাতিক বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে ঢাকা ব্রিগেডের ১ম, ২য় ও ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসারগণ মেজর ফারুক, রশিদ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছিল এবং আর্মির চেইন অফ কমান্ড পুনঃস্থাপনের জন্য তৎকালীন ব্রিগেড অধিনায়ক কর্নেল শাফায়াত জামিলও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তাঁর অধীনস্থ অফিসার ও সৈন্যগণই তাঁর সার্বিক কর্তৃত্ব উপেক্ষা করে শেখ মুজিব হত্যায় জড়িত ছিল। এ পরিস্থিতিতে সেনাসদরে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফও সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা বলে উত্তেজিত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।
মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.) বীরবিক্রম