প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ওয়ানডো-গুন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার ল্যান্ড ফিশারি সেক্টর ও সি ফার্মিং কোম্পানিতে বাংলাদেশি মৌসুমি কর্মী (পুরুষ) নিয়োগ দেওয়া হবে। শুধু বরিশাল বিভাগের অধিবাসীরা আবেদন করতে পারবেন। বরিশাল বিভাগের আওতাধীন জেলাগুলোর অধিবাসী, যাঁরা সমুদ্রে মৎস আহরণের কাজে নিয়োজিত এবং মৎস্য অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত প্রকৃত মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে আবেদন চাওয়া হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীদের পাসপোর্ট ও ফিশারম্যান আইডি কার্ড থাকতে হবে।

প্রাথমিকভাবে কর্মীদের পাঁচ মাসের জন্য নিয়োগ দেওয়া হবে। দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করতে হবে। ওভারটাইমের সুযোগ রয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটি এক দিন। মাসিক বেতন ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

চাকরির শর্ত

প্রার্থীদের বৈধ পাসপোর্টধারী হতে হবে। ন্যূনতম এক বছর মেয়াদ থাকতে হবে। বয়স ২৫-৩৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। ল্যান্ড ফিশারি সেক্টর ও সি ফার্মিং খাতে এক বছরের বেশি কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বরিশাল বিভাগের আওতাধীন জেলা, উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর থেকে ফিশারম্যান আইডি কার্ড থাকতে হবে।

সমুদ্রগামী জেলের তালিকাভুক্ত ফিশারম্যান আইডি কার্ডধারী কোরিয়ান/ ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী ও ইপিএস পদ্ধতিতে রোস্টারভুক্ত বা রোস্টার হতে ডিলিট করা প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। নিয়োগ কর্তার চাহিদা মোতাবেক কর্মকাল সম্পন্ন করে নির্ধারিত সময় দেশে ফেরত আসতে হবে। প্রত্যাগত মৌসুমি কর্মী বোয়েসেলের মাধ্যমে পরবর্তী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অগ্রাধিকার পাবেন এবং ২য় ও ৩য় বারে ভিসা ক্যাটাগরি পরিবর্তন করার সুযোগ থাকবে।

কালার ব্লাইন্ডনেস বা রং বোঝার সক্ষমতার সমস্যামুক্ত হতে হবে। মাদকাসক্ত বা সিফিলিস শনাক্ত ব্যক্তিরা অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। ফৌজদারি অপরাধে জেল বা অন্য কোনো শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থানকারীরা অযোগ্য, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আছে, এমন ব্যক্তিরা আবেদনে অযোগ্য, দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়া-আসার বিমানভাড়াসহ নির্ধারিত ব্যয় কর্মীর নিজেকে বহন করতে হবে এবং অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা কোরিয়ার শ্রম আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য।

আরও পড়ুনকারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে বিশাল নিয়োগ, সংশোধিত পদ ৭৫১০১ মার্চ ২০২৫

যেভাবে আবেদন

আগ্রহী প্রার্থীদের বোয়েসেল অফিসে ৩ মার্চ বেলা ১১টার মধ্যে জীবনবৃত্তান্ত, মূল পাসপোর্ট ও পাসপোর্টের কপি, ফিশারম্যান আইডি কার্ড এবং দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবিসহ (ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা) উপস্থিত থাকতে হবে। ফিশারম্যান আইডি কার্ড অবশ্যই মৎস্য অধিদপ্তরের ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। আবেদনকারীর ফিশারম্যান আইডি কার্ড মৎস্য অধিদপ্তরের http://fisherid.

fisheries.gov.bd/ ওয়েবসাইটে যাচাই করে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হবে।

আরও পড়ুনআজ থেকে ৪০ দিনের ছুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে৯ ঘণ্টা আগে

বোয়েসেলের সার্ভিস চার্জ ও অন্যান্য ব্যয়

নির্বাচিত প্রার্থীদের নির্ধারিত সার্ভিস চার্জ, প্রশিক্ষণ ফি, বহির্গমন ট্যাক্স, সার্ভিস চার্জের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ভিসা ফি, কল্যাণ ফি, বিমাসহ সমুদয় ব্যয় ও ফেরতযোগ্য জামানত প্রার্থীকে বহন করতে হবে। এ ছাড়া প্রার্থীকে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্ম সম্পন্ন করে দেশে ফেরত আসবে মর্মে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নির্বাচিত প্রার্থীর অভিভাবক ও সুপারিশকারীকে স্বাক্ষর করতে হবে। চূড়ান্ত নির্বাচনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, নির্ধারিত সার্ভিস চার্জ ও অন্যান্য ব্যয়ের পে-অর্ডার বোয়েসেলে জমা দিতে হবে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য

অনলাইনে আবেদন চাকরির সাক্ষাৎ ও চূড়ান্ত নির্বাচনের নিশ্চয়তা বহন করবে না। চাকরির জন্য উপরোক্ত শর্ত পূরণ করে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হতে হবে। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত না হওয়ায় পর্যন্ত বোয়েসেলকে কোনো সার্ভিস চার্জ বা ফি দিতে হয় না। নির্ধারিত চার্জ বা ফি ব্যাংক কর্তৃক পে-অর্ডারের মাধ্যমে প্রদান করতে হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন করত

এছাড়াও পড়ুন:

২০২৬ সালের হজের রোডম্যাপ, ১২ অক্টোবরের মধ্যে নিবন্ধন

আগামী বছরে হজে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি হজযাত্রীদের চলতি বছরের ১২ অক্টোবরের মধ্যে নিবন্ধন শেষ করতে হবে। একই সঙ্গে নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মে হজযাত্রীদের তথ্য আপলোড এবং গ্রুপ গঠন শুরু করতে হবে।

এই সময়সীমা বে‌ধে দি‌য়ে গত ৮ জুন ২০২৬ সালের হজের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে সৌদি সরকার।

রোডম‌্যা‌পের নি‌র্দেশনা অনুযায়ী সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের ৯ ন‌ভেম্বর হজচুক্তি সম্পন্ন হ‌বে। আগামী ১০ জুলাই হজের কোটা ঘোষণা করবে সৌদি সরকার। তাছাড়া বা‌ড়ি ভাড়া, প‌রিবহনসহ অন‌্যান‌্য প্রক্রিয়া শেষ করার পর হজযাত্রীদের ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে ২০২৬ সা‌লের ৮ ফেব্রুয়ারি। ভিসা দেওয়ার কার্যক্রম চলবে ২০ মার্চ পর্যন্ত এবং হজ ফ্লাইট শুরু হবে ১৮ এপ্রিল।

আরো পড়ুন:

ইউরোপীয় গুপ্তচর যেভাবে মক্কায় ঢুকেছিলেন

প্রথম ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফিরলেন ৩৬৯ হাজি

এদিকে, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) ও হজ কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সৌ‌দি সরকা‌রের হ‌জের রোডম‌্যা‌প অবহিত ক‌রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রোববার (১৫ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে চি‌ঠি পাঠানো হয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের চি‌ঠি‌তে আরও বলা হ‌য়ে‌ছে, মেডিকেল ফিটনেস ছাড়া কোনো হজযাত্রী হজে যেতে পারবেন না। বিশেষ করে হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার সিরোসিস, কিডনি রোগে আক্রান্ত, নিউরোলজিক্যাল, মানসিক রোগ, ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা, সংক্রামক যক্ষ্মা এবং কেমোথেরাপি/রেডিওথেরাপি গ্রহণকারী ক্যানসার আক্রান্ত রোগী হজের নিবন্ধন করতে পারবেন না।

সৌ‌দি স‌রকা‌রের রোডম্যাপ অনুযায়ী, নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ক্যাম্পের তথ্য অবলোকন এবং অর্থ স্থানান্তরের সুবিধা চালু হবে ২৬ জুলাই। ৯ থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত চলতি হজের ক্যাম্পগুলো আগামী হজ মৌসুমে গ্রহণের সুযোগ থাকবে। নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে (ক্যাম্পের ভাড়া ও মাশায়ের প্যাকেজ) চুক্তি করা যাবে।
২৪ আগস্টের মধ্যে নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সেবা প্যাকেজ, আবাসন এবং পরিবহনের চুক্তি শুরু এবং হজযাত্রী পরিবহনের এয়ারলাইন্স নিয়োগ ও ফ্লাইট সময়সূচি প্রস্তুত করতে হবে। ৯ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকার ও সৌদি সরকারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক হজচুক্তি স্বাক্ষর হবে।

‘হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনীতে’ সেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সেবা চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে সেবা প্যাকেজের (তাঁবু ভাড়া মাশায়ের প্যাকেজ) প্রয়োজনীয় অর্থ পাঠাতে হবে।

আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে সেবা গ্রহণের (তাঁবু ভাড়া+মাশায়ের প্যাকেজ) চূড়ান্ত চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে। একইসঙ্গে এয়ারলাইন্স ও ফ্লাইট সিডিউল চূড়ান্ত করতে হবে। আগামী বছর ২০ জানুয়ারি মক্কা ও মদিনায় হজযাত্রীদের বাড়ি/হোটেল এবং পরিবহন চুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ স্থানান্তর শুরু হবে।

নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মক্কা ও মদিনায় হজযাত্রীদের জন্য বাড়ি/হোটেল ভাড়া এবং পরিবহনের চুক্তি চূড়ান্ত করতে হবে। ৮ ফেব্রুয়ারি হজযাত্রীদের ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং চলবে ২০ মার্চ পর্যন্ত।

রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী বছরের ১৮ এপ্রিল হজের উদ্দেশ্যে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হবে। ২০২৬ সালের হজে হজযাত্রীদের জন্য সর্বোচ্চ দুইটি সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করা যাবে। নুসুক মাসার প্লাটফর্মে আগামী ১০ জুলাই হজ কোটা ঘোষণা করা হবে।

আগামী বছরের হজে সব ধরনের চুক্তি এবং সেবা সংক্রান্ত পেমেন্ট নুসুক মাসার প্লাটফর্মে সম্পন্ন করতে হবে। এর বাইরে কোনো পেমেন্ট কঠোরভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। সব হজযাত্রীর কোরবানির অর্থ নুসুক মাসার প্লাটফর্মে আবশ্যিকভাবে জমা দিতে হবে। হজযাত্রীদের খাবারের জন্য সৌদি ক্যাটারিং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। এছাড়া হজযাত্রী ব্যবস্থাপনার কাজে হজে গমনকারীদের তাঁবু, সার্ভিস প্যাকেজ এবং পরিবহন সেবামূল্য দেওয়া বাধ্যতামূলক।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ