দক্ষিণ কোরিয়া নেবে মৌসুমি কর্মী, বেতন ১ লাখ ৭০ হাজার
Published: 2nd, March 2025 GMT
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ওয়ানডো-গুন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার ল্যান্ড ফিশারি সেক্টর ও সি ফার্মিং কোম্পানিতে বাংলাদেশি মৌসুমি কর্মী (পুরুষ) নিয়োগ দেওয়া হবে। শুধু বরিশাল বিভাগের অধিবাসীরা আবেদন করতে পারবেন। বরিশাল বিভাগের আওতাধীন জেলাগুলোর অধিবাসী, যাঁরা সমুদ্রে মৎস আহরণের কাজে নিয়োজিত এবং মৎস্য অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত প্রকৃত মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে আবেদন চাওয়া হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীদের পাসপোর্ট ও ফিশারম্যান আইডি কার্ড থাকতে হবে।
প্রাথমিকভাবে কর্মীদের পাঁচ মাসের জন্য নিয়োগ দেওয়া হবে। দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করতে হবে। ওভারটাইমের সুযোগ রয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটি এক দিন। মাসিক বেতন ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
চাকরির শর্ত
প্রার্থীদের বৈধ পাসপোর্টধারী হতে হবে। ন্যূনতম এক বছর মেয়াদ থাকতে হবে। বয়স ২৫-৩৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। ল্যান্ড ফিশারি সেক্টর ও সি ফার্মিং খাতে এক বছরের বেশি কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বরিশাল বিভাগের আওতাধীন জেলা, উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর থেকে ফিশারম্যান আইডি কার্ড থাকতে হবে।
সমুদ্রগামী জেলের তালিকাভুক্ত ফিশারম্যান আইডি কার্ডধারী কোরিয়ান/ ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী ও ইপিএস পদ্ধতিতে রোস্টারভুক্ত বা রোস্টার হতে ডিলিট করা প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। নিয়োগ কর্তার চাহিদা মোতাবেক কর্মকাল সম্পন্ন করে নির্ধারিত সময় দেশে ফেরত আসতে হবে। প্রত্যাগত মৌসুমি কর্মী বোয়েসেলের মাধ্যমে পরবর্তী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অগ্রাধিকার পাবেন এবং ২য় ও ৩য় বারে ভিসা ক্যাটাগরি পরিবর্তন করার সুযোগ থাকবে।
কালার ব্লাইন্ডনেস বা রং বোঝার সক্ষমতার সমস্যামুক্ত হতে হবে। মাদকাসক্ত বা সিফিলিস শনাক্ত ব্যক্তিরা অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। ফৌজদারি অপরাধে জেল বা অন্য কোনো শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থানকারীরা অযোগ্য, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আছে, এমন ব্যক্তিরা আবেদনে অযোগ্য, দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়া-আসার বিমানভাড়াসহ নির্ধারিত ব্যয় কর্মীর নিজেকে বহন করতে হবে এবং অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা কোরিয়ার শ্রম আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য।
আরও পড়ুনকারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে বিশাল নিয়োগ, সংশোধিত পদ ৭৫১০১ মার্চ ২০২৫যেভাবে আবেদন
আগ্রহী প্রার্থীদের বোয়েসেল অফিসে ৩ মার্চ বেলা ১১টার মধ্যে জীবনবৃত্তান্ত, মূল পাসপোর্ট ও পাসপোর্টের কপি, ফিশারম্যান আইডি কার্ড এবং দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবিসহ (ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা) উপস্থিত থাকতে হবে। ফিশারম্যান আইডি কার্ড অবশ্যই মৎস্য অধিদপ্তরের ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। আবেদনকারীর ফিশারম্যান আইডি কার্ড মৎস্য অধিদপ্তরের http://fisherid.                
      
				
বোয়েসেলের সার্ভিস চার্জ ও অন্যান্য ব্যয়
নির্বাচিত প্রার্থীদের নির্ধারিত সার্ভিস চার্জ, প্রশিক্ষণ ফি, বহির্গমন ট্যাক্স, সার্ভিস চার্জের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ভিসা ফি, কল্যাণ ফি, বিমাসহ সমুদয় ব্যয় ও ফেরতযোগ্য জামানত প্রার্থীকে বহন করতে হবে। এ ছাড়া প্রার্থীকে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্ম সম্পন্ন করে দেশে ফেরত আসবে মর্মে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নির্বাচিত প্রার্থীর অভিভাবক ও সুপারিশকারীকে স্বাক্ষর করতে হবে। চূড়ান্ত নির্বাচনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, নির্ধারিত সার্ভিস চার্জ ও অন্যান্য ব্যয়ের পে-অর্ডার বোয়েসেলে জমা দিতে হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য
অনলাইনে আবেদন চাকরির সাক্ষাৎ ও চূড়ান্ত নির্বাচনের নিশ্চয়তা বহন করবে না। চাকরির জন্য উপরোক্ত শর্ত পূরণ করে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হতে হবে। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত না হওয়ায় পর্যন্ত বোয়েসেলকে কোনো সার্ভিস চার্জ বা ফি দিতে হয় না। নির্ধারিত চার্জ বা ফি ব্যাংক কর্তৃক পে-অর্ডারের মাধ্যমে প্রদান করতে হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন করত
এছাড়াও পড়ুন:
ফোনে খালেদা জিয়া বললেন, ‘ভাই, জিয়াকে ড্রয়িংরুমে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’
৭৫-এর উত্তপ্ত নভেম্বর
শেখ মুজিব হত্যার পর বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ছিল দ্বিধাগ্রস্ত এবং দেশ প্রতিদিন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এদিকে খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা সর্বজনাব নজরুল ইসলাম তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও আবদুস সামাদ আজাদকে আটক করেন এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করে রাখেন। বাতাসে প্রতিনিয়ত নানা গুজব উড়ছিল ও সাধারণ নাগরিকগণ ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। সেনানিবাসেও অস্থিরতা বিরাজ করছিল এবং ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে, নিজেদের মধ্যে যে-কোনো সময়ে সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আর্মিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি ছিল।
পদাতিক বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে ঢাকা ব্রিগেডের ১ম, ২য় ও ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসারগণ মেজর ফারুক, রশিদ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছিল এবং আর্মির চেইন অফ কমান্ড পুনঃস্থাপনের জন্য তৎকালীন ব্রিগেড অধিনায়ক কর্নেল শাফায়াত জামিলও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তাঁর অধীনস্থ অফিসার ও সৈন্যগণই তাঁর সার্বিক কর্তৃত্ব উপেক্ষা করে শেখ মুজিব হত্যায় জড়িত ছিল। এ পরিস্থিতিতে সেনাসদরে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফও সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা বলে উত্তেজিত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।
মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.) বীরবিক্রম