বন্দরে সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকে চুরি
Published: 2nd, March 2025 GMT
বন্দরে একটি সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকের জানালার থাই গ্লাস খুলে নিয়েছে একটি সংঘবদ্ধ চোরের দল। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে নাসিক ২৭ নং ওয়ার্ড মুরাদপুর এলাকায় অবস্থিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এ চুরির ঘটনা ঘটে।
জানালার থাই গ্লাস না থাকায় ঝুঁকিতে রয়েছে মূল্যবান সরকারি ঔষধ সহ ভেতরের আসবাবপত্র। এ ঘটনায় সিএইচসিপি বিলকিস বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনাটি গত ৪ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশের সহায়তা পাচ্ছে না বলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসীর অভিযোগ।
ক্লিনিকের সভাপতি সাইদুর রহমান সানোয়ার জানান, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ক্লিনিকের ৬ টি জানালার ১২টি থাই গ্লাস খুলে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার পরদিন পার্শ্ববর্তী একটি প্রতিষ্ঠানের সিসি ফুটেজে দেখা যায় দুইজন ব্যক্তি জানালার থাই গ্লাস নিয়ে যাচ্ছে।
এ ঘটনায় বন্দর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলেও গত ৫ দিনেও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। তবে তদন্তকারি অফিসার ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মফিজের যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনাস্থলে আসবেন জানান।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
সচেতন অবচেতনা
আষাঢ়ে–শ্রাবণে
অগ্নি কি নিবেছে?
একনাগাড়ে কত দিন ধরে
বৃষ্টি চলেছে তো চলেছেই।
জ্যৈষ্ঠে শুরু। তারপর এই
সারাটা আষাঢ় মাস ধরে
বৃষ্টি হচ্ছে। সারা দিন–রাত।
আকাশে পিঙ্গল পর্দা টানা।
সূর্য নেই। মেঘেলা। ধূসর।
রাস্তায় রাস্তায় জলস্রোত।
দিনরাত্রি অঝোর ঝরন।
মনে হয়, কখনো দেখিনি
সূর্য কিংবা রৌদ্রের ঝলক।
জলধারা ভুবন ভাসায়, —
শুধু এক কণা অগ্নি জ্বলে
সব দৃষ্টি–শ্রুতির বাইরে।
(মুস্তফা আনোয়ার–কে)
বৃষ্টির শাবলে আর গাঁইতির চাড়ে
রাত্রির কালো খনি ধসে পড়তে থাকে।
দেখি আর মনে মনে বলি: শেখো–শেখো–
কী করে মেলাতে হয় স্বপ্ন–ও–সত্তাকে।
কিন্তু ভোরবেলাতেই ভুল হয়ে যায়;
বুঝতে পারি না, বৃষ্টি নাকি জ্যোৎস্না ঝরছে?
পুষ্পিতা যুবতী, নাকি জুঁইফুলগাছ?
বেঁচে আছি, নাকি ঢুকে পড়েছি স্বর্গে?
বাস্তবতা নিয়ে আজো খাই হিমশিম,
ঊনষাটেও দেখছি আজো কিছুই মেলে না:
নিসর্গ রহস্যময়: নারী অপ্রবেশ্য;
পৃথিবী আকাশে ঢাকা; মানুষ অচেনা।
রাত্রি একটার ঢাকা। বৃষ্টি হয়ে গেছে এই একটু আগে।
ভিজে কালো রাস্তায় লাল–নীল–হলুদ–পাটকিলে আলোর বাহার।
ফিরছিলাম আমরা দুজন–আমি আর আতাহার।
আকাশ কি মেঘে ঢাকা? কালো মেঘ–ছেঁড়া দু–চারটি তারা
সিল্কের মতন আকাশে জ্বলছে পুঁতির মতন।
এখনো বাতাসে ঠান্ডা, বৃষ্টি থামলো এই কিছুক্ষণ।
পৃথিবীতে এরকম রাত্রি আর আসেনি কখনো।
ময়ূরের মতো এতো বর্ণময়, এমন নীরব–কলস্বরা,
এতো শান্ত-গতিশীল, এতো সশরীরী অথচ অধরা।
আরে। বৃষ্টি ফের: শাদা পর্দা পড়ে গেল রাত্রির নাটকে।
ভিজে কালো রাস্তায় চমকাচ্ছে আকাশের যত তারা।
কোথাও উৎসব নেই, তবু বাজছে ধ্বনি–প্রতিধ্বনিময় সারা–রারা–রারা।
দিনগুলি মিথ্যা হল এরকম বৃষ্টি–বেঁধা রাত্রির ঝংকারে
কতো গ্রীষ্ম ধুয়ে গেল এবারের আষাঢ়ে–শ্রাবণে,
হে রাত্রি, বৃষ্টির রাত্রি, তুমি আজ ঝরছো গহনে।
রাত্রি আজ জেগে উঠলো প্রজ্জ্বলন্ত বৃষ্টির বিভায়,
মেঘে লুপ্ত হয়ে চাঁদ মিশে রইল আমাদের নগরে–বন্দরে,
চলো যাই উড়ে যাই কালো–নীল রাত্রির ভিতরে।
বহুক্ষণ বৃষ্টি থেমে গেছে।
এখন গাছের ডাল থেকে,
পাতা থেকে চুঁইয়ে পড়ছে
জলবিন্দু। হিরের। রুপোর।
কে ডাকছে ডাক নাম ধরে?
এতো রাতে কে ডাকছে? কে? কে?
ভুল। কেউ নেই। কিছু নেই।
পথে পথে সোনার মোহর।