চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ১৫টি ইয়াবা বড়িসহ এক যুবককে বসতঘর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই যুবকের বাবার দেওয়া তথ্যে গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ওই যুবকের বিরুদ্ধে তাঁর বাবা বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন।

গ্রেপ্তার যুবকের নাম মো. মিনহাজ। তিনি উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকার আমির হোসেনের (৫৪) ছেলে। ইয়াবা সেবনের পাশাপাশি মিনহাজ মাদক বিক্রির সঙ্গেও দীর্ঘদিন ধরে জড়িত রয়েছেন বলে পরিবারের বরাতে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, মিনহাজ দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা সেবনে আসক্ত। পাশাপাশি খুচরায় ইয়াবা বিক্রি করেন। তাঁর অত্যাচারে পরিবারের লোকজন অতিষ্ঠ ছিলেন। ইয়াবা সেবন ও বিক্রিতে বাধা দিলে পরিবারের সদস্যদের মারধরের পাশাপাশি জিনিসপত্র ভাঙচুর করতেন মিনহাজ। গতকাল রাতেও একইভাবে ইয়াবা বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় তাঁর মা-বাবাকে মারধর করেন মিনহাজ। এ সময় প্রতিবেশীরা এসে তাঁর মা-বাবাকে উদ্ধার করেন এবং একপর্যায়ে মিনহাজকে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। পরে ইয়াবাসহ মিনহাজকে আটকে রাখার বিষয়টি থানায় জানান তাঁর বাবা আমির হোসেন। এরপর পুলিশ এসে মিনহাজকে গ্রেপ্তার করে।

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান আজ সোমবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার ওই তরুণকে তাঁর বাবার করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আদালতে পাঠানো হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফোনে খালেদা জিয়া বললেন, ‘ভাই, জিয়াকে ড্রয়িংরুমে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’

৭৫-এর উত্তপ্ত নভেম্বর

শেখ মুজিব হত্যার পর বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ছিল দ্বিধাগ্রস্ত এবং দেশ প্রতিদিন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এদিকে খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা সর্বজনাব নজরুল ইসলাম তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও আবদুস সামাদ আজাদকে আটক করেন এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করে রাখেন। বাতাসে প্রতিনিয়ত নানা গুজব উড়ছিল ও সাধারণ নাগরিকগণ ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। সেনানিবাসেও অস্থিরতা বিরাজ করছিল এবং ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে, নিজেদের মধ্যে যে-কোনো সময়ে সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আর্মিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি ছিল।

পদাতিক বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে ঢাকা ব্রিগেডের ১ম, ২য় ও ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসারগণ মেজর ফারুক, রশিদ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছিল এবং আর্মির চেইন অফ কমান্ড পুনঃস্থাপনের জন্য তৎকালীন ব্রিগেড অধিনায়ক কর্নেল শাফায়াত জামিলও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তাঁর অধীনস্থ অফিসার ও সৈন্যগণই তাঁর সার্বিক কর্তৃত্ব উপেক্ষা করে শেখ মুজিব হত্যায় জড়িত ছিল। এ পরিস্থিতিতে সেনাসদরে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফও সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা বলে উত্তেজিত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।

মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.) বীরবিক্রম

সম্পর্কিত নিবন্ধ