১ মার্চ থেকে সামান গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার বা প্রধান পরিচালন কর্মকর্তার দায়িত্ব নিয়েছেন আজম খান। এর আগে তিনি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসির হেড অব কমিউনিকেশনস পদে কর্মরত ছিলেন। সামান গ্রুপ লুব্রিক্যান্ট, কৃষি ও খাদ্য, ওয়ার্ক টার্মিনাল (কো-ওয়ার্কিং স্পেস), ই-কমার্স, প্রপার্টিজ ও কমিউনিকেশনস খাতে ব্যবসা পরিচালনা করছে।

আজম খান ১৯৮৮ সালে ভলান্টারি হেলথ সার্ভিসেস সোসাইটিতে (ভিএইচএসএস) সহকারী প্রকাশনা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীকালে কারিতাস বাংলাদেশে জনসংযোগ কর্মকর্তা, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসির জনসংযোগ কর্মকর্তা, ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংক পিএলসির জনসংযোগ কর্মকর্তা, ঢাকা ব্যাংক পিএলসির জনসংযোগ প্রধান ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক পিএলসির বিপণন, উন্নয়ন ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান ছিলেন।

১৯৮৮ সালে আজম খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক প এলস র কর মকর ত আজম খ ন জনস য গ

এছাড়াও পড়ুন:

জামালপুরে সমাজচ্যুতির ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন অভিযুক্ত মাতব্বররা

জামালপুর শহরে সাতটি পরিবারকে সমাজচ্যুত করার ঘটনায় ভুল স্বীকার করে ভুক্তভোগীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন অভিযুক্ত মাতব্বররা। ঢাকঢোল পিটিয়ে ও মাইকিং করে সমাজচ্যুতির ঘোষণা দেওয়ার দু’দিন পর রোববার রাতে বসে নতুন সালিশ বৈঠক। এতে সেই মাতব্বররা নিজেদের ভুল স্বীকার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একসঙ্গে বসবাসের অঙ্গীকার করেন। পরে মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়, সাতটি পরিবারের বিরুদ্ধে নেওয়া আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে।

পারিবারিক বিরোধের জের ধরে জামালপুর শহরের দাপুনিয়া পশ্চিমপাড়ায় গত শুক্রবার রাতে বসে সালিশ বৈঠক। এতে ঘোষণা করা হয়, ‘মরহুম আজিজুল হক, ইসমাইল হোসেন মৌলভি, মুনসুর মিয়া, মানিক, জানিক, মজিবর ও নান্নুর পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। এসব পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কেউ মেলামেশা, লেনদেন বা সামাজিক সম্পর্ক রাখতে পারবে না। এ নিষেধ অমান্যকারীকেও একঘরে করে দেওয়া হবে।’ পরে মাইকে এলাকাজুড়ে তা প্রচার করা হয়। এতে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

পরদিন বিকেলে ইসমাইল হোসেন, মুনসুর মিয়াসহ ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে জামালপুর সদর থানায় অভিযোগ দেন। তারা জানান, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে প্রভাবশালীরা সালিশ ডেকে একতরফাভাবে মুনসুর মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন। জরিমানার টাকা না দেওয়ায় সাত পরিবারকে সমাজচ্যুতির ঘোষণা দিয়ে একঘরে করে রাখা হয়েছে।

এই অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয় পুলিশ প্রশাসন। রোববার রাত ১০টার দিকে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকে এলাকার কয়েকশ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। 

জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াহিয়া আল মামুন বলেন, উভয় পক্ষ এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের অঙ্গীকার করেছে। অভিযোগকারীরা তাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ