বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কালাবদর নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ নিধনের সময়ে কোস্টগার্ডের অভিযানে এক জেলে নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে নিহত ওই জেলের মৃত্যু নিয়ে দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে।

নিহত জেলের নাম মিরাজ ফকির (৩০)। তিনি মেহেন্দিগঞ্জের মিয়ারচর গ্রামের ফখরুল ইসলাম ফকিরের ছেলে।

নিহতের পরিবারের দাবি, ইলিশ নিধনের সময় অভিযানে যাওয়া কোস্টগার্ডের স্পিডবোট জেলে নৌকার ওপর উঠিয়ে দিলে মিরাজ নিহত হন। 

হিজলা নৌ পুলিশ বলছে, কোস্টগার্ড অভিযানে গেলে জেলেরা হামলা করায় দুইপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছিল। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে কোস্টগার্ড দাবি করেছে, তারা সেখানে অভিযানেই যায়নি।

নিহতের ভাই রবিউল ফকির জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কালাবদর নদীর শ্রীপুর এলাকায় তার ভাই মিরাজ ফকির অন্য জেলেদের সঙ্গে মাছ ধরছিলেন। এসময় কোস্টগার্ডের একটি স্পিডবোট জেলেদের নৌকার ওপর দিয়ে উঠিয়ে দেওয়ায় মিরাজ গুরুতর আহত হয়। অন্য জেলেরা গুরুতর অবস্থায় মিরাজকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হিজলা নৌ-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কোস্টগার্ডের সদস্যরা কালাবদর নদীর শ্রীপুর এলাকায় অভিযানে গেলে জেলেরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় জেলেদের সঙ্গে কোস্টগার্ডের সংঘর্ষ হয়। এতে জেলে মিরাজ আহত হন। পরে তাকে অন্য জেলেরা উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বর্তমানে মিরাজের লাশ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।

তবে কোস্টগার্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার তাদের কোনও অভিযান ছিল না। এ ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত থাকতে পারে।

প্রসঙ্গত, জাটকা বড় হওয়ার সুযোগ দিতে ইলিশের পাঁচটি অভয়াশ্রমে ইলিশ আহরণে ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে গত ১ মার্চ থেকে। কালাবদর নদীও ওই নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সব নদীতে ছেলেদের ইলিশ নিধনের অভিযোগ রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

কুমিল্লার মুরাদনগর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় আসিফ মাহমুদের পক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্য রয়েছেন। 

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সদরের আল্লাহ চত্বরে ঘটনাটি ঘটে। 

এলাকাবাসী জানান, বুধবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সদরের আল্লাহ চত্বরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জড়ো হন।  সমাবেশ লক্ষ্য করে পার্শ্ববর্তী জেলা পরিষদের মার্কেট থেকে কয়েকটি ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হন, তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন।

আরো পড়ুন:

কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবে বিএনপির অভিযোগ বক্স, যা পাওয়া গেল

সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান

মিছিল নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মিনাজুল হক বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মিছিল নিয়ে আসার পর শত শত ইটপাটকেল ছুড়ে আমাদের ধাওয়া দিতে থাকে। আমাদের অনেক সমর্থক আহত হন।”

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপির মুরাদনগর উপজেলার আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, “তারা হামলা করার পর আমাদের ছেলেরা প্রতিরোধ করেছে।”

কুমিল্লার মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খান জানান, আজ মুরাদনগর সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছিল। এ সময় পাশে অবস্থান করা কিছু লোক বিনা উসকানিতে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপরে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করে। 

ঢাকা/রুবেল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যশোরে সাংবাদিকের ছেলে ছুরিকাহত
  • উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • সোনারগাঁয়ে মাদ্রাসায় কমিটি গঠনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন