শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নানা অস্থিরতার মধ্যে দেশের মাটিতে নারী বিশ্বকাপ আউওজনের যোগ্যতা হারায় বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, সফরে আসার কথা ছিল নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দলের। তখন সেটি বাতিল হয়। অবশেষে আলোর মুখ দেখছে এই সিরিজ।

আসছে মে’তে বাংলাদেশ সফর করবে নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দল। এই সফরে ওয়ানডে ও চারদিনের ম্যাচ হবে। অবশ্য এখনও পূর্ণাঙ্গ সূচি তৈরি হয়নি। দুই বোর্ড আলোচনা করে সূচি চূড়ান্ত করবে।

এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি, ভেন্যুসহ সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা করার জন্য ইতিমধ্যে নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল ঢাকায় অবস্থান করছে।

আরো পড়ুন:

সুজনের জায়গায় হাবিবুল

মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি বিসিবি, থাকছেন সিমন্স-সালাউদ্দিন

এই প্রতিনিধি দলকে মঙ্গলবার (৪ মার্চ, ২০২৫) ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের ইনচার্জ মিরপুর শের-ই-বাংলা ঘুরিয়ে দেখান। আগামীকালও তাদের ঢাকায় অবস্থানের কথা রয়েছে। 

গত বছরের সেপ্টেম্বরের সূচি অনুযায়ী দুটি চার দিনের ম্যাচ এবং তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। এখন পর্যন্ত সূচি চূড়ান্ত না হলেও ম্যাচের সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফোনে খালেদা জিয়া বললেন, ‘ভাই, জিয়াকে ড্রয়িংরুমে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’

৭৫-এর উত্তপ্ত নভেম্বর

শেখ মুজিব হত্যার পর বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ছিল দ্বিধাগ্রস্ত এবং দেশ প্রতিদিন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এদিকে খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা সর্বজনাব নজরুল ইসলাম তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও আবদুস সামাদ আজাদকে আটক করেন এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করে রাখেন। বাতাসে প্রতিনিয়ত নানা গুজব উড়ছিল ও সাধারণ নাগরিকগণ ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। সেনানিবাসেও অস্থিরতা বিরাজ করছিল এবং ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে, নিজেদের মধ্যে যে-কোনো সময়ে সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আর্মিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি ছিল।

পদাতিক বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে ঢাকা ব্রিগেডের ১ম, ২য় ও ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসারগণ মেজর ফারুক, রশিদ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছিল এবং আর্মির চেইন অফ কমান্ড পুনঃস্থাপনের জন্য তৎকালীন ব্রিগেড অধিনায়ক কর্নেল শাফায়াত জামিলও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তাঁর অধীনস্থ অফিসার ও সৈন্যগণই তাঁর সার্বিক কর্তৃত্ব উপেক্ষা করে শেখ মুজিব হত্যায় জড়িত ছিল। এ পরিস্থিতিতে সেনাসদরে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফও সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা বলে উত্তেজিত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।

মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.) বীরবিক্রম

সম্পর্কিত নিবন্ধ