‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দেওয়া সেই যুবদল নেতা বহিষ্কার
Published: 4th, March 2025 GMT
‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে ভাইরাল হওয়া যুবদল নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও সদস্য (সাক্ষর ক্ষমতাপ্রাপ্ত) অ্যাডভোকেট আব্দুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত যুবদল নেতা হলেন হাসমত আলী। তিনি দিরাই পৌর যুবদলের সাবেক সহসভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক।
সোমবার রাতে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির ফেসবুক পেজে বহিষ্কারাদেশ সংক্রান্ত একটি চিঠি পোস্ট করা হয়।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে দিরাই উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির একাংশের দলীয় কার্যালয়ে নবগঠিত উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে মতবিনিময় সভা হয়। সেখানে বক্তব্য দেন হাসমত আলী। আহ্বায়ক কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে দেওয়া বক্তব্য ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে শেষ করেন তিনি। পরে তার দেওয়া বক্তব্যের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
হাসমত আলী এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন দিরাই পৌর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। সারাজীবন শহীদ জিয়ার আদর্শে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত। আমি চার দিন ধরে জ্বরে ভুগছি, অসুস্থ অবস্থায় মিটিংয়ে যাই, যা হয়েছে আমার অসাবধানতাবশত হয়েছে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ য বদল ব এনপ র য বদল
এছাড়াও পড়ুন:
সংস্কারের প্রশ্নে ব্যক্তি–দলের স্বার্থের চেয়ে দেশকে প্রাধান্য দিতে হবে: নুরুল হক
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেছেন, আর কোনো শাসক যাতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পথ অনুসরণ করে নাগরিকদের নিপীড়নসহ দেশকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে না পারে, সে জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সংস্কার প্রশ্নে ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থের চেয়ে দেশকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে সংস্কার প্রশ্নে গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের শুরুতে নুরুল হক এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে আজ গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
বৈঠকের শুরুতে নুরুল হক বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গণ অধিকার পরিষদের আহ্বান থাকবে, যে সংস্কারগুলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হবে, সেগুলো যেকোনো মূল্যে এই সরকারের অধীনেই বাস্তবায়ন করতে হবে।
নুরুল হক বলেন, বিগত ১৬ বছরে দেশের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত হয়ছিল। গণ অধিকার পরিষদ নবীন রাজনৈতিক দল হলেও ২০১৮ সাল থেকে তাঁরা মামলা, হামলা ও নির্যাতনের শিকার।
বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের নতুন অধ্যায়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন হয়েছে।
সম্মিলিতভাবে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, তাঁদের লক্ষ্য দ্রুততম সময়ে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা।
সংস্কার প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, শুধু আলোচনার মধ্য দিয়েই সংস্কার বাস্তবায়ন হবে না। সবার একত্রিত থাকার তাগিদ সব সময় জারি রাখতে হবে।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, সাবেক বিচারপতি এমদাদুল হক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।
আলোচনায় গণ অধিকার পরিষদের ১০ সদস্যদের প্রতিনিধিদল অংশ নিচ্ছে। নুরুল হক ছাড়া প্রতিনিধিদলে রয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, সিনিয়র সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র ফারুক হাসান, গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর সদস্য খালিদ হোসেন, হাবিবুর রহমান রিজু, সাকিব হোসেন, দপ্তর সম্পাদক শাকিলুজ্জামান, সহমানবাধিকার–বিষয়ক সম্পাদক ফাতেমা দিশা, যুব উইংয়ের সদস্য মুমতাজুল ইসলাম, গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।