পবিত্র রমজানে অসহায় মানুষের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন রংপুরের সাবেক নারী ক্রিকেটার আরিফা জাহান বীথি। মাসজুড়ে প্রতিদিন দুই শতাধিক রোজাদার অসহায় ব্যক্তিকে বিনামূল্যে ইফতার করানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। গত সোমবার রংপুর নগরীর ঘনবসতিপূর্ণ স্টেশন পাটবাড়ি ও খেড়বাড়ি এলাকায় দুস্থ, এতিম ও তাদের বৃদ্ধ মা-বাবাসহ কর্মহীন দুই শতাধিকের বেশি রোজাদারকে নিয়ে ইফতারের আয়োজন করে বীথির প্রতিষ্ঠিত উইমেন্স ড্রিমার ক্রিকেট একাডেমি অ্যান্ড হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন। তার আগের দিন বদরগঞ্জে অসহায় দুস্থ, এতিম, বৃদ্ধসহ কর্মহীন আড়াই শতাধিক রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতার করানো হয়।

রোজার প্রথম দিন থেকে শুরু হওয়া বীথির এই ইফতার কার্যক্রম চলবে রোজার শেষ দিন পর্যন্ত। পুরো রমজান মাসে ছয় হাজার রোজাদারকে ইফতার করানোর চেষ্টার কথা জানিয়েছেন বীথি। এই উদ্যোগের কথা বীথি ফেসবুকে জানানোর পর বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছেন। সামর্থ্যবান অনেকেই এগিয়ে এসেছেন তাঁকে সাহায্য করতে।

আরিফা জাহান বীথি ২০১০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে খেলেছেন। ২০১৭ সালে অসুস্থতার কারণে চিকিৎসকের পরামর্শে ক্রিকেট ছাড়তে বাধ্য হন। এরপর রংপুরে ফিরে ২০১৯ সালে জেলা স্টেডিয়ামে নারীদের জন্য উইমেন্স ড্রিমার ক্রিকেট একাডেমি গড়ে তোলেন। বর্তমানে সেখানে কয়েকশ নারী ক্রিকেটারকে বিনামূল্যে ক্রিকেট প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তিনি। যুক্ত আছেন আরও সামাজিক কর্মকাণ্ডে। সাবেক এই ক্রিকেটার জানান, ইফতারের একেকটি প্যাকেটের খরচ পড়ছে ৮০ টাকা। প্রতিদিন ২০০ রোজাদারের জন্য খরচ লাগছে ১০ হাজার টাকা। পুরো এক মাসে, অর্থাৎ রমজানের ৩০ দিনে সর্বমোট খরচ পড়বে তিন লাখ টাকা। প্রথম রোজা থেকে এ পর্যন্ত বদরগঞ্জ, হারাগাছ, রংপুর নগরে বিভিন্ন এলাকায় ইফতার বিতরণ করা হয়েছে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইফত র ই শত ধ ক ইফত র ক অসহ য়

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেম ছিল না তবু কেন মধুবালাকে বিয়ে করেছিলেন কিশোর কুমার

দিলীপ কুমারের সঙ্গে বিচ্ছেদের কিছুদিন পরই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী মধুবালা। তবে তখন তিনি ছিলেন অসুস্থ। কিশোর কুমার জানিয়েছিলেন, ভালোবাসা থেকে নয়, বরং কথা রাখতেই তিনি এ বিয়ে করেছিলেন।
মধুবালা ও দিলীপ কুমারের প্রেম নিয়ে একসময় মুখর ছিল মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু অভিনেত্রীর বাবার বাধার কারণে সে সম্পর্কে ফাটল ধরে এবং দুজনের বিচ্ছেদ ঘটে। কিছুদিন পরেই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন মধুবালা। তাঁদের এই বিয়ে অনেককে চমকে দিয়েছিল। কারণ, তাঁদের প্রেমের কথা তখনো গোপন ছিল। তবে মধুবালার শরীর তখন ভালো যাচ্ছিল না। বলা হয়, দীর্ঘ রোগভোগের সময় কিশোর কুমার তাঁকে মায়ের বাড়িতে রেখেই চলে যান।

দ্য ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেছিলেন, ‘বিয়ের আগেই জানতাম, ও খুব অসুস্থ। কিন্তু কথা তো দিয়েছিলাম। তাই সে কথা রেখেই ওকে ঘরে এনেছিলাম স্ত্রী হিসেবে। জানতাম, ওর জন্মগত হৃদ্‌রোগ আছে। তবু ৯ বছর ধরে সেবা করেছি। চোখের সামনেই ওকে মরতে দেখেছি। কেউ বুঝবে না এর যন্ত্রণা, না ভুগলে। ও অসম্ভব সুন্দরী ছিল। আর কত যন্ত্রণায় মারা গেছে, সেটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। হতাশায় চিৎকার করত, কান্নাকাটি করত। এত প্রাণোচ্ছল মানুষ নয়টা বছর বিছানায় শুয়ে থাকবে—এ কল্পনাই করা যায় না। ডাক্তার বলেছিল, ওকে হাসিখুশি রাখতে হবে। আমি তা–ই করেছি—ওর শেষনিশ্বাস পর্যন্ত। কখনো হেসেছি, কখনো কেঁদেছি ওর সঙ্গে।’

তবে কিশোর কুমারের এই বক্তব্য নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। কারণ, পরে ফিল্মফেয়ার সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একেবারে ভিন্ন কথা বলেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেন, ‘মধুবালার সঙ্গে আমি প্রেমে পড়িনি কখনো। বরং ওর প্রেমিক ছিল আমার বন্ধু দিলীপ কুমার। আমি তো শুধু ওদের বার্তা পৌঁছে দিতাম। বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়েছিল মধুবালাই। এমনকি, যখন আমার প্রথম স্ত্রী রুমা তখনো আমার সঙ্গে ছিল, তখনো মধু বলত, “ওকে কখনো ছেড়ো না, না হলে আমি তোমার হয়ে যাব।”’

আরও পড়ুনকিশোর কুমার কি সত্যিই ঘরে কঙ্কাল আর মাথার খুলি নিয়ে ঘুমাতেন২৭ মে ২০২৫

মধুবালার পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, চিকিৎসকেরা তখন বলেছিলেন, অভিনেত্রীর পক্ষে শারীরিক সম্পর্ক কিংবা সন্তানধারণ কোনো কিছুই সম্ভব নয়। সেই বাস্তবতা হয়তো প্রভাব ফেলেছিল কিশোরের সিদ্ধান্তে। এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, ‘আমরা বলছি না কিশোরদা ভুল করেছিলেন। ডাক্তার তো স্পষ্ট বলেছিল—শারীরিক সম্পর্ক বা সন্তান কোনোটাই সম্ভব নয়। তবে একজন নারীর তো মানসিক সঙ্গীও দরকার হয়।’
ওই ঘনিষ্ঠজন আরও জানান, কিশোর কুমার তিন মাসে একবার আসতেন মাত্র। বলতেন, ‘আমি এলে তুমি কাঁদবে, আর এতে তোমার হৃদ্‌যন্ত্রের ক্ষতি হবে। তুমি বিষণ্ন হয়ে পড়বে।’ সে সময় মধু অনেক ছোট ছিলেন, ঈর্ষাও ছিল স্বাভাবিক। হয়তো এ দূরত্বই ধীরে ধীরে তাঁকে শেষ করে দিয়েছিল।
১৯৬৯ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বলিউড অভিনেত্রী মধুবালা

সম্পর্কিত নিবন্ধ