আসন্ন ঈদ-যাত্রায় নৌপথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও ধারণক্ষমতার বাইরে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কোনো অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। 

আজ বৃহস্পতিবার সকালে পবিত্র ঈদ উল ফিতর ২০২৫ উপলক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌপথে সুষ্ঠু, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ নৌচলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা বিধানকল্পে আয়োজিত সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একগুচ্ছ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে নৌপরিবহন উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, আসন্ন ঈদ যাত্রায় নৌপথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং ধারণক্ষমতার বাইরে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দায়ী ব্যক্তিদের শুধু জরিমানাই করা হবে না; অধিকন্তু ওই লঞ্চের রুট পারমিটও বাতিল করা হবে। কোনো অবস্থাতেই ফিটনেসবিহীন কোনো জলযান নৌপথে চলাচল করতে পারবে না। কোনো লঞ্চ বা ফেরি সিরিয়াল ব্রেক করে চলতে পারবে না। নৌপরিবহন অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটরিং করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক আইনগত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, প্রত্যেক লঞ্চের নির্ধারিত স্থানে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার রেট চার্ট প্রদর্শন করতে হবে। অন্যথায় মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রায়শই অভিযোগ শোনা যায় ঈদের সময় যাত্রী সাধারণকে জিম্মি করে নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে প্রায় দেড়/দুই গুণ বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। আসন্ন ঈদে এ ধরনের অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সদরঘাট বা অন্যান্য ঘাটে যাদের ইজারা দেওয়া হয়েছে তারা যাত্রীদেরকে কোনোরূপ হয়রানি করতে পারবেন না। কোনো অতিরিক্ত চার্জ আদায় করতে পারবে না। বিআইডব্লিউটিএসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে তদারকি করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ সময় উপদেষ্টা যে-সকল জলযানের ফিটনেস নেই তাদেরকে অবিলম্বে ফিটনেস সনদ গ্রহণের আহ্বান জানান।

নৌযাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে রাতে চলাচলকারী লঞ্চে আনসার সদস্য নিযুক্ত করা হবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, রাতে চলাচলকারী দূরপাল্লাগামী লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে চারজন করে আনসার সদস্য নিয়োগের জন্য মালিকপক্ষকে বলা হয়েছে। এর ব্যত্যয় হলে কোনো দুর্ঘটনা সংগঠিত হলে মালিকপক্ষ দায়ী থাকবে। আনসার সদস্যদেরকেও তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। লঞ্চে বা ফেরিঘাটে কর্মরত স্টাফদের নির্ধারিত ইউনিফর্ম এবং আইডি কার্ড থাকতে হবে। নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া, বরিশালের মেঘনা নদীসহ যে সকল অপরাধপ্রবণ অঞ্চলগুলোতে কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশের পাশাপাশি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিশেষ টহল থাকবে।

১৫ রমজান হতে ঢাকার জিরো পয়েন্ট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত সড়ক উন্মুক্ত রাখতে হবে বলে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, কোনোভাবেই রাস্তার উপরে যত্রতত্র বাস দাড় করিয়ে রাখা যাবে না। সংশ্লিষ্ট পুলিশ বাহিনী বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটরিং করবে। প্রয়োজনে রেকার দিয়ে অভিযুক্ত বাসগুলোকে সরিয়ে দিতে হবে। ঈদযাত্রার প্রস্তুতি দেখতে উপদেষ্টা সদরঘাটসহ নৌরুটের বিভিন্ন স্পটে আকস্মিক পরিদর্শনে যাবেন বলে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। 

সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার প্রধান, জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ পুলিশ, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট ন পর বহন উপদ ষ ট র বহন

এছাড়াও পড়ুন:

দেখা না দিয়ে ক্ষমা চাইলেন শাহরুখ

গতকাল ছিল বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের জন্মদিন। বরাবরের মতো গতকালও এ তারকার বাড়ি মান্নাতের সামনে হাজার হাজার ভক্ত অনুরাগী ভিড় করেছিলেন। প্রিয় তারকাকে একঝলক দেখার জন্য কয়েক শ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মুম্বাই ছুটে গেলেও দেখা মেলেনি শাহরুখের। কেন দেখা করলেন না—ক্ষমা চেয়ে কারণ ব্যাখ্যা করলেন শাহরুখ। 

মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স একটি পোস্ট দিয়েছেন শাহরুখ খান। তাতে এ অভিনেতা বলেন, “আমার প্রিয় মানুষেরা আমার জন্য অপেক্ষা করেছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী, আমি বাইরে বেরিয়ে দেখা করতে পারিনি।” 

আরো পড়ুন:

মধ্যরাতে শাহরুখের বাড়ির সামনে ভক্তদের ভিড়

শাহরুখের ব্যাপারে সাবধান করলেন জুহি চাওলা

ক্ষমা চেয়ে শাহরুখ খান লেখেন, “আমি আপনাদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমাকে জানানো হয়েছে যে, ভিড় নিয়ন্ত্রণের সমস্যা, সকলের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত। পরিস্থিতি বোঝার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। বিশ্বাস করুন, আমি আপনাদের চেয়েও বেশি মিস করব। আপনাদের সঙ্গে দেখা করে ভালোবাসা ভাগ করে নেওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম। আপনাদের সকলকে ভালোবাসি।” 

শাহরুখ খানের এ পোস্টে অসংখ্য মন্তব্য জমা পড়েছে। তাতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। চন্দ্র শেখর লেখেন, “গতকাল রাতে মুম্বাইয়ের রাস্তা আপনাকে মিস করেছে। কিন্তু হৃদয়টা ভরা ছিল।” আরেকজন লেখেন, “আপনার ও সবার নিরাত্তা আগে। আমরা বিষয়টি উপলদ্ধি করতে পেরেছি।” অন্যজন লেখেন, “নিরাপত্তা আগে, আপনি নিরাপদে থাকুন।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে কমেন্ট বক্সে। 

শাহরুখ খান এখন তার বিলাসবহুল মান্নাতে বসবাস করেন না। গত মার্চের দিকে মান্নাত থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে অভিজাত একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নেন; সেখানেই বসবাস করছেন। কারণ মান্নাতে সংস্কার কাজ চলছে। সংস্কার কাজ শেষ হতে দুই বছর সময় লাগবে বলে জানা গেছে। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ