মানিকগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের তারেক রহমানের সহায়তা
Published: 6th, March 2025 GMT
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার জাফরগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের শিকার চারটি পরিবারের মাঝে নগদ আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে তারেক রহমানের নির্দেশে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবির ওই চার পরিবারের মাঝে নদগ অর্থ হস্তান্তর করেন।
এ সময় মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দীপু, যুগ্ম আহ্বায়ক আসিফ ইকবাল রনি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী নাদিম হোসেন টুয়েল, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জিহাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব খান অয়নসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
পিরোজপুরে তারেক রহমানের মামলার বাদী ও সাক্ষী গ্রেপ্তার
মাহে রমজান সবার জীবনে বয়ে আনুক শান্তি-সুখের বার্তা: তারেক রহমান
অগ্নিকাণ্ডের শিকার হওয়া রমজান বলেন, ‘‘বুধবার রাইতের বেলা ক্যামনে যে আগুন লাগলো, সব শেষ অইয়া গেলো। চারট্যা ঘর আছিলো,এহন পুইড়া ছাই অইয়া গেছে। কেউ একবার খবরও নেই নাই। বিএনপির লোকজন আইসা শান্ত্বনা দিল, ট্যাহা পয়সা দিল, খবর নিলো এডাই শান্তি।’’
এ সময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এস এ জিন্নাহ কবির বলেন, ‘‘বিএনপি জনগণের দল, গণমানুষের দল। বিএনপির সম্মানিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মানুষের পাশে রয়েছেন। তিনি দেশের সকল খোঁজ খবর রাখছেন। মানিকগঞ্জের শিবালয়ের অগ্নিকাণ্ডের খবর তার কাছে পৌছামাত্র ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তার নির্দেশ বাস্তবায়নে আমরা অগ্নিকাণ্ডের শিকার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। যতটুকু সম্ভব চারটি পরিবারে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে, তাদের আরো সহযোগিতা করা হবে।’’
আর্থিক সহযোগিতা শেষে এস এ জিন্নাহ ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রশাসনকে তিনি অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগের অনুরোধ করেন।
ঢাকা/চন্দন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত র ক রহম ন ত র ক রহম ন ম ন কগঞ জ পর ব র র ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
জকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদলের ১২ দাবি
আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে ১২ দফা দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সংগঠনটির নেতারা জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসানের কাছে এসব দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
আরো পড়ুন:
২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ
২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির
স্মারকলিপিতে ছাত্রদল অভিযোগ করেছে, জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী সংবিধি ও আচরণবিধি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে। তারা বিশ্বাস করে, নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য দায়বদ্ধ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখিত ছাত্রদলের ১২ দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে; নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে; স্বচ্ছ গ্লাসের ব্যালট বাক্স ব্যবহার করতে হবে এবং প্রতিটি বাক্সে আলাদা নম্বর থাকতে হবে; ব্যালট ছাপানোর সংখ্যা, কাস্টিং ভোটার ও নষ্ট ব্যালটের সংখ্যা প্রকাশ করতে হবে; কোনো মিডিয়া ট্রায়ালের ক্ষেত্রে (ভুল তথ্য প্রচার হলে) সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, তবে সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে অবাধ স্বাধীনতা দিতে হবে; পোলিং এজেন্টরা নিজ কেন্দ্রেই অবস্থান করবেন, তবে অন্য কেন্দ্রে প্রবেশ বা অনুমতি ছাড়া পরিবর্তন করা যাবে না।
বাকি দাবিগুলো হলো- ডাকসু, চাকসু, রাকসু ও জাকসুর নির্বাচনের সময়সূচি বিবেচনা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের যোগাযোগের সুবিধা অনুযায়ী যথাযথ সময় রেখে জকসু নির্বাচন নির্ধারণ করতে হবে; আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন হলে নির্বাচনী প্রচারণার আচরণবিধি স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে, পাশাপাশি ফাউন্ডেশনের চুক্তি ও অবস্থান বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে; অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এমফিল শিক্ষার্থীদেরও জকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে এবং বিধিমালা থেকে তাদের বাদ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।
এছাড়া জকসুর আচরণবিধির ৬ নম্বর ধারার আলোকে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্যদের জন্য বিশেষ কার্ড দিতে হবে, যা নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে কার্যকর হবে; রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর কার্যকরী কমিটির সদস্যদের নির্বাচনী প্রচার ও অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ঘোষিত ধারাবাহিক কর্মসূচি চলমান রাখার সুযোগ দেওয়ার দাবি করেন।
নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়েছে, যেন একটি গণতান্ত্রিক, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা হয়, যেখানে সব ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। অন্যথায়, কমিশন কোনো গোষ্ঠীর প্রভাব বা চাপের মুখে পড়ছে বলে শিক্ষার্থীদের মনে হতে পারে।
ছাত্রদলের নেতারা জানান, তারা সন্তোষজনকভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি উপস্থাপন করেছে এবং কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকার ওপর তাদের আস্থা রয়েছে।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী